সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: BSF এর জালে বাংলাদেশি !সীমান্তে ফের বিএসএফ হাতে ধরা পড়ল বাংলাদেশের পাচারকারী ! সীমান্তে আগে থেকেই সজাগ ছিলেন জওয়ানরা। আগাম তথ্যই শেষ অবধি কাজে লেগে যায়। অভিনব পদ্ধতিতে সোনার পাচার করেও রক্ষা হয়নি। সন্দেহ হতেই বাংলাদেশিকে তল্লাশি চালায় বিএসএফ। সন্দেহই সত্যি হয়। উদ্ধার হয় ৪ টি সোনার বিস্কুট ! সোনার বিস্কুটগুলির ওজন ৪৭৩ গ্রাম এবং আনুমানিক ৩৬.৫৬ লক্ষ টাকা। এখানেই শেষ নয়,একাধিক এয়ার রাইফেল এবং একটি এয়ারগানের ব্যারেল উদ্ধার করা হয়েছে।
আটক হওয়া ওই বাংলাদেশি পর্যটক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, সে পেশায় একজন কৃষক। বেশি উপার্জনের লোভে পাচারকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। সোনার সব বিস্কুট ঢাকার তাঁতী বাজারের টয়লেটে গিয়ে, নিজের মলদ্বারে রেখে লুকিয়ে রেখেছিলেন তিনি! তিনি আরও বলেছিলেন যে, কলকাতার বড় বাজারে পৌঁছানোর পরে,তাকে এই সোনার বিস্কুটগুলি অপরিচিত ব্যক্তির হাতে তুলে দিতেন। যার জন্য তিনি ৪০ হাজার টাকা পেতেন। কিন্তু তার আগেই পেট্রাপোলে বিএসএফ জওয়ানরা তাঁকে সোনার বিস্কুট-সহ ধরে ফেলে। আটক হওয়া ওই বাংলাদেশি যাত্রী ও উদ্ধার হওয়া সোনা শুল্ক বিভাগ, পেট্রাপোলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র হিঙ্গলগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই ঘটনার আগেও পাচারের ক্ষেত্রে একাধিক অভিনব পদ্ধতি নিতে দেখা গিয়েছে পাচারকারীদের। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। এর আগে ভিনরাজ্যের মাদক পাচারের জন্য মাছের পেটিকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই অভিনব পদ্ধতিও মুখ থুবড়ে পড়েছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে আরও একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। ঘটনাটি ঘটে সাঁকরাইল এর ধূলাগড় টোল প্লাজায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সাঁকরাইল থানার পুলিশ ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ একটি মুরগির ভর্তি ভ্যানকে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধূলাগড় টোল প্লাজায় দাঁড় করিয়েছিল। এরপরেই ওই ভ্যানে তল্লাশি চালিয়ে একটি গোপন কুঠুরি থেকে ৯৯ প্যাকেট গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছিল। মোট গাঁজার ওজন ছিল ২৩৫ কেজি। ওই গাঁজা দিঘা থেকে নদিয়ার চাকদাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেখানে এক ব্যক্তির হাতে গাঁজার প্যাকেট গুলি তুলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই গোটা পরিকল্পনা বানচাল করে দিয়েছিল রাজ্য পুলিশ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।