করুণাময় সিংহ, মালদা: বৈষ্ণবনগরের সুখদেবপুরে সীমান্তে অব্যাহত বাংলাদেশিদের উস্কানি। ওপার বাংলা থেকে এসে ফসল ও গাছ কেটে নেওয়ার প্রতিবাদ করায় হামলা। পাথরের আঘাতে আহত এক ভারতীয় নাগরিক।
ওপার থেকে এপারে হামলার পর থমথমে মালদার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। থমথমে মালদার বৈষ্ণবনগরের সুখদেবপুর সীমান্ত। ত্রিপুরার পর মালদা, গতকাল সীমান্তে ফের আক্রান্ত BSF। সীমান্তের ওপার থেকে BSF-কে বোমা, পাথর। লাগাতার যুদ্ধের জিগির তোলা বাংলাদেশিদের হামলা। সীমান্তের ওপার থেকে বোমা-পাথর, আহত ২ BSF জওয়ান। সীমান্ত পেরিয়ে এপারে ঢুকে ওপারের কট্টরপন্থীদের হামলা। BSF-এর তাড়ায় পালাল বাংলাদেশিরালাগাতার হিন্দুদের উপর হামলা, মৌলবাদীদের যুদ্ধের জিগির। সীমান্তে ইউনূস সরকারের মহড়া, উস্কানির মধ্যেই আক্রান্ত ভারত।

কলকাতাকে বাংলাদেশের অঙ্গরাজ্য করার হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। বাংলা-সহ সারা দেশেই জঙ্গি ইস্যু ঘিরেও সতর্ক ভারত সরকার। একের পর এক ভুয়ো পার্সপোর্টকাণ্ড সামনে আসছে। গ্রেফতার হয়েছেন একাধিক অনুপ্রবেশকারী। তারই মধ্যে গত কয়েকদিন ধরেই সীমান্তে, কাঁটাতার দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে BGB এর বিরুদ্ধে। যদিও সীমান্তে এই উস্কানিতে থেমে নেই ভারত। পাল্টা চাপ এবার দিল্লির তরফেও।
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইউনূস সরকার। এদিন তারই পাল্টা, দিল্লিতে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে ডেকে কড়া বার্তা দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে এসেছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে খবর, কাঁটাতারের ইস্যু-সহ নিরাপত্তাজনিত দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে যে চুক্তি রয়েছে, সেই প্রোটোকল মেনে চলছে ভারত সরকার। এদিন এই বিষয়ে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে দিল্লি।
সীমান্তে পাচার-সহ যেকোনও অপরাধমূলক কার্যকলাপ, দুষ্কৃতীদের পারাপার রুখতে বদ্ধপরিকর ভারত সরকার। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হচ্ছে। সীমান্তে সার্চ লাইট-সহ উন্নত প্রযুক্তির ডিভাইস ব্য়বহার করা হচ্ছে। তাই, সীমান্তে সব রকম অপরাধমূলক কাজের যবনিকা টানতে, যাবতীয় সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি নেবে বাংলাদেশ সরকার বলেই আশাবাদী ভারত।
আরও পড়ুন, 'কৌশলে বিয়ে করে, এপারের জায়গা জমি হাতিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা..' !
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছিলেন, সীমান্তে চোরাচালান, অপরাধ দমনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। অপরাধদমনে সীমান্ত নিরাপত্তায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া থাকতে হবে। তাদের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব থাকাও প্রয়োজন।