আরও উত্তপ্ত বাংলাদেশ। লাগাতার মন্দিরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, মারধর, লুঠের ঘটনার মাঝে ফের নতুন করে মন্দিরে হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। এখনও জেলবন্দি সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু। ইস্কন কলকাতা সর্বতভাবে তাঁর পাশে আছে, আন্দোলনের সঙ্গে আছে, জানিয়েছে ইসকন। বৃহস্পতিবার থেকেই প্রতিদিন কীর্তনের মাধ্যমে সন্ন্যাসীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবি জানাচ্ছেন ইসকনের সাধুরা।


বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পদস্থরা যতই প্রকাশ্যে ধর্মীয় সহিষ্ণুতার কথা বলুক না কেন, পরিস্থিতি সংখ্যালঘুদের জন্য কতটা প্রতিকূল তার প্রমাণ মিলছে একের পর এক ঘটনায়। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ যে থামেনি, তা বোঝাতে ভিডিও-ও পোস্ট করেছেন ইসকনের কলকাতা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। তিনি লিখেছেন, 'শুক্রবার বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর ব্যাপক হামলার খবর সামনে আসছে। হিন্দুদের বহু মন্দির, বাড়িঘর ও সম্পত্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। ইসকন মন্দিরে যাওয়ার সন্দেহে কয়েকজন যুবককে নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে।'   






 


এরই মধ্যে ইসক সর্বাধরণের কাছে আর্জি জানাল, যেখানে যত ভক্ত আছেন, তাঁরা রবিবার যেন সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণকে মুক্তির দাবিতে একত্রিত হন। সারা দেশে বিভিন্ন শহরেই রয়েছে ইসকনের মন্দির। ভক্তরা রবিবার, ১ ডিসেম্বর যে কোনও মন্দিরেই যেতে পারেন। ইসকনের আর্জি , সকলেই যেন পরমেশ্বরের কাছে শান্তির জন্য প্রার্থনা করেন। তাদের অনুরোধ, ' অনুগ্রহ করে আপনার স্থানীয় ISKCON মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা জানান। কীর্তনে যোগ দিন । ভগবান কৃষ্ণর কাছে প্রার্থনা করুন, তিনি যেন আমাদের ভক্তদের এবং বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করেন।' 


গত বৃহস্পতিবার, ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আর্জি খারিজ করে দিয়েছে বাংলাদেশের হাইকোর্ট। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার মুখেও শোনা গেছে ঐক্যের কথা। কিন্তু এরপরও থামেনি হিন্দুদের উপর অত্যাচার। তেমনটাই দাবি করছেন রাধারমণ দাস।   


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।                  


আরও পড়ুন, ওপারে হামলা, এবার এপারে হাসপাতালে বাংলাদেশিদের 'No-Entry' ! 'বাংলাদেশিদের রোগীদের ভর্তি নয়..'