শেখ হাসিনাকে নিয়ে বড় রায় আজ।  তার আগের রাতেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় বাংলাদেশে। রবিবার রাতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টার বাড়ির কাছে একটি ককটেল বোমা বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণ হয়েছে ঢাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির দফতরের সামনেও। রবিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ বাংলাদেশের জলসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দ রিজওয়ানা হাসানেরবাড়ির সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয়দের দাবি, এক দল দুষ্কৃতী এই হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়। 

Continues below advertisement

আজ বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায়দান। সাজা ঘোষণা করবে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। দিকে দিকে আওয়ামী লিগের বিক্ষোভে চলছে অশান্তি।  রবিবার থেকে ২ দিন ধরে বাংলাদেশ জুড়ে ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ডেকেছে আওয়ামী লীগ। সোমবার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় 'সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে' শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণা করা হচ্ছে আজ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এর এজলাস থেকে রায় ঘোষণা পর্ব সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। প্রথম আলো সূত্রে খবর, ওই কর্মসূচি ঘিরে গত ১০ নভেম্বর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলছে আওয়ামী লিগের বিক্ষোভ-অশান্তি। বাসে-ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। জায়গায় জায়গায়  ককটেল বোমা মারা হয়। শনিবার রাত থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গাড়িতে আগুন, ককটেল বোমা ফাটানোর ঘটনা ঘটেছে। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশি অভিযান জোরদার করা হয়েছে।  পুলিশ ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগের  বহু কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। বর্তমানে এই দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এসএম সাজ্জাত আলি রবিবার রাতে বলেন, “আমি ওয়্যারলেসের মাধ্যমে বলেছি যে, যে কেউ বাসে আগুন ধরিয়ে দেবে অথবা হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা নিক্ষেপ করবে তাকে গুলি করা উচিত। আমাদের আইনে এই ক্ষমতা স্পষ্টভাবে দেওয়া আছে।” ১০ নভেম্বরের পর থেকে ঢাকায় বেশ কয়েকটি হামলা হয়েছে। মীরপুরে ইউনূস-প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের সদর দফতরের  প্রবেশপথে ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। আধিকারিকরা  জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কের বেশ কয়েকটি শাখায় সমন্বিত পেট্রোল বোমা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে।  

Continues below advertisement

রবিবার গভীর রাতে, বাংলাদেশের মাদারিপুরে মশাল মিছিলের আয়োজন করে নিষিদ্ধ বলে ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলিগ। বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলো সূত্রে খবর, পুলিশের উপস্থিতিতে পরবর্তীতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় মিছিল। শুরু হয় ধরপাকড়। 

বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলো সূত্রে খবর, রবিবার রাতে, তিতুমির কলেজের মেন গেট ও আমতলি মোড় এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বাসেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। 

হাসিনার বিরুদ্ধে ঠিক কী কী অভিযোগে মামলা হয়েছে , দেখে নেওয়া যাক। শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ। প্রথমত উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখা, দ্বিতীয়ত হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের প্রাণে মারার নির্দেশ। তৃতীয়ত, রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সইদকে গুলি করে হত্যার চতুর্থত , রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় আন্দোলনরত ছয়জনকে গুলি করে হত্যার নির্দেশ এবং আশুলিয়ায় ছয়জনকে পুড়িয়ে হত্যা করার নির্দেশ।