পেট্রাপোল : মৌলবাদের নাগপাশে বাংলাদেশ। নানা ঘটনায় দু'দেশের সীমান্ত এলাকায় বাড়ছে উত্তাপ। জেলবন্দি সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের দ্রুত মুক্তি ও হিন্দুদের
ওপর অত্যাচার বন্ধের দাবি জানিয়ে সোমবার পেট্রাপোল সীমান্তের কাছে প্রতিবাদ কর্মসূচি। যোগ দিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। জিরো পয়েন্টে জমায়েত করেছেন বহু মানুষ। সেখানে তাঁরা বিক্ষোভ দেন। বাংলাদেশে রফতানির বন্ধের হুঙ্কার দেন শুভেন্দু।


এদিন পেট্রাপোল সীমান্তের জমায়েত থেকে সুর চড়ান বিরোধী দলনেতা। অবিলম্বে চিন্ময় কৃষ্ণদাস প্রভুর মুক্তির দাবি জানান। শুভেন্দু বলেন, "এটা আমরা ট্রেলার দেখিয়ে গেলাম। অত্যাচার বন্ধ না হলে এর পরের সপ্তাহে, প্রভু মুক্তি না পেলে আমরা ৫ দিন বন্ধ করব। তারপরে আমরা ২০২৫ সালে লাগাতার বন্ধ করে ওদের আলু-পেঁয়াজ কী করে খায় আমরা সেটা দেখিয়ে দেব। ভারতের পতাকা যারা পদদলিত করেছে, '৭১-এর রাজাকারের মতো, যেমন পাকিস্তানে আমি চিফ আত্মসমর্পণ করেছিলেন, এই রাজাকারের নতুন বাচ্চাদের ভারত আত্মসমর্পণ করাবে। ভারত আজ একটা দেশ নয়, পৃথিবীর একটা শক্তিশালী রাষ্ট্র নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে।" 


চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিতে চরম ক্ষোভের আবহেই বাংলাদেশে আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর ফলে চিন্ময়কৃষ্ণ দাস-সহ গ্রেফতারি বেড়ে হয়েছে মোট ৫ জন। এদিকে ভারতে আসার পথে বেনাপোল সীমান্তে আটকে দেওয়া হয় বহু ইসকন ভক্তকে। ভারতে আসতেই দেওয়া হল না ইসকনের সদস্যদের। যা নিয়ে নতুন করে তৈরি হল অপ্রীতিকর পরিস্থিতি। হাতে রয়েছে বৈধ পাসপোর্ট, ভিসা। তাও সরকারের 'আপত্তি'। বিশেষ কোনও উদ্দেশ্যে ভারতে আসছে ওই ভক্তরা এই সন্দেহে সীমান্তেই ইসকন ভক্তদের আটকে দেয় বাংলাদেশ পুলিশ। সূত্রের খবর, বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে শনিবার বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ইসকন ভক্তরা এসে পৌঁছন। কিন্তু সেখানেই আটকে দেওয়া হয় তাঁদের। বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ইমতিয়াজ আহসানুল কাদের ভূইয়া বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টারকে বলেন, "আমরা পুলিশের বিশেষ শাখার সঙ্গে এ বিষয়ে পরামর্শ করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তাদের অনুমতি না দেওয়ার নির্দেশ পেয়েছি।"


তিনি এও জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ৫৪ জন ইসকন ভক্তকে ভারতে যাওয়ার ক্ষেত্রে ছাড় দেয়নি। শনিবার থেকে সীমান্তে অপেক্ষা করলেও কোনও সুস্পষ্ট কারণ ছাড়াই রবিবার তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ইসকন ভক্তদের তরফে বলা হয়, ভারতে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু ইমিগ্রেশন আধিকারিকরা বাধা দেয়। অনুমতি না পাওয়ায় ভারতে যেতে পারা গেল না।