জয়দীপ হালদার ও বিটন চক্রবর্তী, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) ট্রলার ডুবির পর আজ উদ্ধার করা হল ৪৪ জন বাংলাদেশি (Bangladesh) মত্‍স্যজীবীকে (Fisherman)। গতকাল ১১ জন মত্‍স্যজীবীকে উদ্ধার করা হয়েছিল। নিম্নচাপ ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার (Weather) জন্য শুক্রবার বঙ্গোপসাগরে ডুবে যায় ভারতীয় (India) জলসীমায় চলে আসা ৩ বাংলাদেশি ট্রলার।


উত্তাল সমুদ্রে কোনওরকমে ভেসে প্রায় ২ দিন। উদ্ধারকারীদের অনেক কষ্ট করে পৌঁছোতে হল মত্‍স্যজীবীদের কাছে। যদিও বা কোনওরকমে ভেসে থাকা মত্‍স্যজীবীদের কাছে দড়ি ছুড়ে দেওয়া হল, কিন্তু তাতেও ঢেউ ঠেলে এগোন মুশকিল। অবশেষে কোনওরকমে সেই দড়ি ধরেই একটু একটু করে টেনে আনা হল সমুদ্রে ডুবতে বসা মত্‍স্যজীবীদের। 


বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় রবিবার এভাবেই উদ্ধার করা হল ৪৪ জন বাংলাদেশি মত্‍স্যজীবীকে। শনিবার উদ্ধার হয়েছিলেন আরও ১১ জন মত্‍স্যজীবী। এই নিয়ে ৫৫ জন মত্‍স্যজীবীকে উদ্ধার করা সম্ভব হল।  


আরও পড়ুন, মুখ-হাতে ফোসকা? ছোঁয়াচে এই রোগটিকে অবহেলা করলেই বিপদ!


নিম্নচাপ ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য বৃহস্পতি ও শুক্রবার বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় জলসীমায় চলে আসে কয়েকটি বাংলাদেশি মত্‍স্যজীবীদের ট্রলার। সূত্রের খবর, তার মধ্যে ৩টি ট্রলার শুক্রবার রাতে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যায়।  শনিবার ও রবিবার চালায় উপকূলরক্ষী বাহিনী।                                                                                


পাশাপাশি, দুর্যোগের কারণে বিভিন্ন দ্বীপে আটকে পড়া ভারতীয় ট্রলার ফেরার সময় ওই মত্‍স্যজীবীদের দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে।  ২ দিন ভেসে থাকার পর এদিন পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই জেলার সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা হয় ৪৪ জন মত্‍স্যজীবীকে। 



মত্‍স্যজীবীদের এখন একটাই আর্জি, 'তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে চাই'।  দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলরক্ষী বাহিনী যাঁদের উদ্ধার করে, তাঁদের তুলে দেওয়া হয় রায়দিঘি থানার পুলিশের হাতে। সুন্দরবন মত্‍স্যজীবী শ্রমিক সংগঠনের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, "আবহাওয়া খারাপের জন্য বেশ কিছু ট্রলার ৩টি ট্রলার উল্টে যায়  আমাদের ট্রলার তুলে নিয়ে আসে।" 


৪৪ জনের মধ্যে ২৭ জন মত্‍স্যজীবীকে উদ্ধার করা হয় পূর্ব মেদিনীপুরে। উদ্ধার করা মত্‍স্যজীবীদের কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।