শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা: বাংলাদেশে হিন্দু নিধনে প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়েছে কলকাতায়। ওপার বাংলায় হিন্দু যুবককে খুনের প্রতিবাদে, শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে শহরের রাজপথে নেমেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন।বেকবাগানের কাছে এই মিছিলকে আটকে দেওয়া হয়েছিল। মিছিলে অংশগ্রহণকারী সাধুসন্তরা বসে পড়েছিলেন সেই অংশেই। বসে পড়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তবে এইমুহূর্তে মিছিল আবার শহরের রাজপথ ধরে এগোচ্ছে। বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, আগামী ২৪ তারিখ বিভিন্ন বর্ডারে প্রতীকি অবরোধ করা হবে। যদি দীপুচাঁদ দাস-সহ বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে ১ কেজি পেঁয়াজও ওপারে যেতে দেবেন না। এমন হুঁশিয়ারিই দিয়েছেন শুভেন্দু । তিনি বলেছেন, '..বদলা চাই।'  

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, 'দীপুচাঁদ দাসের দোষটা কী ছিল ?' বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অডিও বার্তা শেখ হাসিনার

Continues below advertisement

মিছিলে হাঁটাকালীন এদিন তিনি বলেন, 'পুরো দুনিয়ার হিন্দু এক হোক। হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের সঙ্গে যা করেছিল, তাই করেছে দীপুচাঁদ দাসের সঙ্গে।..এরপরেই তিনি বলে বলেন, মানা হবে না, হিন্দুরা জেগে গিয়েছে। এদেরকে আমরা বদলা নেবই। বদলা চাই। আমি পরিবারকে পরামর্শ দেব, হাইকোর্টে অ্যাপিল করতে। ফাঁসি চাই।' শেষ অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী, এইমুহূর্তে অবস্থান থেকে উঠলেও, আগামী ২৬ তারিখ ফের একবার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে আসবেন বলে গিয়েছেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গাড়িতে উঠে স্থান ছাড়ার আগে, শুভেন্দুর মুখে ফের শোনা যায়, 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান। মূলত,  বাংলাদেশের ময়মনসিংহে দীপুচাঁদ দাস নামে এক যুবককে পিটিয়ে খুন করে প্রকাশ্য়ে তাঁর মৃতদেহ জ্বালিয়ে দিয়েছিল উন্মত্ত দুষকৃতীরা। আর এই ঘটনার প্রতিবাদে, বেকবাগানে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার জন্য এই মিছিল শুরু হয়। মিছিলে জুতোর মালা পরিয়ে মহম্মদ ইউনূসের প্রতিকৃতিও নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে বেকবাগান মোড়ের বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের প্রায় ২০০ মিটার এই ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। এদিকে বাধার মুখে পড়ে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করা হয়। 

কোটা আন্দোলনের অন্যতম মুখ, শেখ হাসিনা বিরোধী ছাত্রনেতা শরিফ ওসমান বিন হাদির খুনের পর প্রতিবাদের নামে চরম নৈরাজ্য় শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। এদিকে ময়মনসিংহের ভালুকায় দীপুচাঁদ দাস নামে এক যুবককে পিটিয়ে খুন করে প্রকাশ্য়ে তাঁর মৃতদেহ জ্বালিয়ে দিয়েছিল উন্মত্ত দুষকৃতীরা।এরপরেই প্রকাশ্যে আসে দুষকৃতীদের নৃশংসতার আরও এক হাড় হিম করা নজির। BNP নেতা বেলাল হোসেনের বাড়ির দরজায় তালা লাগিয়ে, আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় BNP নেতার ৭ বছরের মেয়ের।গত শুক্রবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত সংসকৃতিকেন্দ্র ছায়ানটেও চলেছিল ধ্বংসযজ্ঞ। বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমূল্য় বই, নজরুল ইসলাম থেকে লালন ফকিরের ছবি।