সুনীত হালদার, হাওড়া: হাওড়া (Howrah) শহরের বুক থেকে একের পর এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী গ্রেফতার। গতকাল রাতে ডোমজুড় থানার পুলিশ মৌখালী শেখপাড়া থেকে রিপন হাওলাদার ওরফে রঞ্জিত মন্ডল নামে এক বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টের বিভিন্ন ধারায় মামলা শুরু করেছে পুলিশ। ধৃতকে আজ হাওড়া আদালতে তোলা হয়।


বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আগেও গ্রেফতার করা হয়েছিল


গত বুধবার ডোমজুড়ের বাঁকড়া নয়াবাজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ সুমন এবং মহম্মদ মুনিরকে। গতকাল ধৃতদের হাওড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। ওই দু'জন বাংলাদেশির কাছ থেকে পুলিশ জাল আধার কার্ড, ভোটার আই কার্ড এবং পাসপোর্ট উদ্ধার করেছে। জানা গেছে জাল পাসপোর্টের তদন্তে নেমে হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা ওই দুজনের সন্ধান পান। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে রিপন হাওলাদারের সন্ধান পায় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর সে দু'বছর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসে। এরপর পাকাপাকিভাবে মৌখালী এলাকায় বসবাস শুরু করেন। রিপন মাসখানেক আগে ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে আরও দুই ধৃত বাংলাদেশীকে এদেশে মোটা টাকার বিনিময়ে নিয়ে আসেন। তাদের নকল পরিচয় পত্র তৈরি করে দেন।


মার্চে জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল
গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে ডোমজুড়ের বাকড়া এলাকা থেকে আনিরুউদ্দিন আনসারি নামে এক জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স। যদিও আনিরুদ্দিনের সঙ্গী এখনও পলাতক। পুলিশ ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ওই জঙ্গির সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


এদিকে বাঁকড়া এবং আশপাশের এলাকা থেকে একের পর এক বাংলাদেশি গ্রেফতার হওয়ায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা জানিয়েছেন একশ্রেণির বাড়ির মালিক কোনও প্রমাণপত্র ছাড়াই বাইরের লোকেদের ঘর ভাড়া দিচ্ছেন। এইসব ভাড়াটিয়ারাও কোনও প্রমাণপত্র জমা দিচ্ছেন না থানাতে। এতে যে কোন দিন বড়সড় বিপদ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাসিন্দারা। তারা পুলিশের নজরদারির ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করছেন। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য পেলে সেই অনুযায়ী তাঁরা ব্যবস্থা নেন।