পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া : কাঁচা মাটির বাড়িতে বসবাস। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাকা ঘরের জন্য পুরসভার গৃহ প্রকল্পে আবেদন করলেও সাড়া মেলেনি। বর্ষায় কী হবে ভেবে রীতিমতো আতঙ্কে বাঁকুড়া (Bankura) পুরসভার (Municipality) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৬টি পরিবার। এ নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। পুরপ্রধানের আশ্বাস, দ্রুত সমস্যা মিটবে। 


জরাজীর্ণ অবস্থা বাড়ির-


মাথার ওপর ছাদ আছে, অথচ তা না থাকার সমান। কোনওরকমে জোড়াতালি দেওয়া চালের ওপর ত্রিপল খাটিয়ে দিন গুজরান। কাঁচা মাটির বাড়ির দেওয়ালে ফাটল। কোথাও দেওয়ালের ইট বেরিয়ে গেছে। জরাজীর্ণ একচিলতে ঘরের মধ্যেই চলছে রান্নাবান্না।


আরও পড়ুন ; 'ভূগোল নিয়ে পড়ে শিক্ষক হতে চাই', বলছেন বাঁকুড়ার পঞ্চম স্থানাধিকারী সোমনাথ


বাঁকুড়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে রামপুর এলাকায় ৩৬টি পরিবার কাঁচাবাড়ির বাসিন্দা। তাঁদের অভিযোগ, পুরসভার ‘হাউস ফর অল’ প্রকল্পে অনেক দিন আগে আবেদন করেও ঘর মেলেনি। এমনকী ত্রিপল চেয়েও তা পাওয়া যাচ্ছে না। 


বর্ষা এসে পড়ল বলে। এই অবস্থায় প্রবল বৃষ্টিতে কী হবে ভেবে পাচ্ছেন না বাসিন্দারা। বাঁকুড়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শীতলা দাস বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে থাকতে হচ্ছে। বারে বারে ত্রিপল চাইলেও পাচ্ছি না।


মায়া দাস নামে অপর এক বাসিন্দা বলেন, আমরা পুরসভার কাছে লিখিত আবেদন করেছি বাড়ির জন্য। এখনও তা পাইনি।


এ নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বাঁকুড়া নগর মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি কৌশিক পাঠক বলেন, বাড়ি না পাওয়ার কারণ স্বজনপোষণ।


অন্যদিকে, বাঁকুড়ার পুরপ্রধান ও তৃণমূল নেত্রী অলকা সেন মজুমদার বলেন, হাউস ফর অল এ বাড়ি হচ্ছে। যাদের কাগজ ঠিকঠাক, তারা পাবে। যাদের কথা বলা হচ্ছে, তাদের বাড়ির অনুমোদন হয়েছে। তারা বাড়ি পাবে।


বাঁকুড়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের এই ৩৬টি পরিবার এখন অপেক্ষায়, কবে তাদের বাড়িগুলো একটু পাকাপোক্ত হবে।