পূর্ণেন্দু সিংহ, তুহিন অধিকারী, বিষ্ণুপুর: লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য নির্দলদের (Independent candidates) উদ্দেশে তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বের কড়া নির্দেশের পরেও বাঁকুড়ায় (Bankura) পুরভোটে (Municipal Election) মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি ৬ বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা। তৃণমূল প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে পুরোদমে প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন ৬ জন নির্দল প্রার্থী। এই প্রেক্ষাপটে বাঁকুড়ার নির্দল প্রার্থীদের উদ্দেশে চরম বার্তা দিল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান শ্যামল সাঁতরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘নির্দল যাঁরা দাঁড়িয়েছেন, তাঁরা দলের পাঁচ বছর খেয়েছেন, পরেছেন, সমস্ত কিছু করেছেন। ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন পাঁচ বছর ধরে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন। তাঁরা যদি না ফিরে আসেন, তাহলে কড়া সিদ্ধান্ত নেবেন। কারণ, চারটি পুরনিগমের ফল দেখিয়েছে, কারও দরকার নেই।’
পাল্টা তৃণমূল জেলা চেয়ারম্যানের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নির্দল প্রার্থীরা। বাঁকুড়া পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী ও বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা দিলীপ আগরওয়ালের কটাক্ষ, ‘হেরো নেতা। কোতুলপুর, জয়পুরে ঢুকতে পারছেন না। বাঁকুড়ায় এসে নোংরামি করছেন। এর জবাব মানুষ দেবেন। আমি সবচেয়ে বড় তৃণমূলপন্থী, বাকিরা ভুঁইফোড় নেতা।’
নির্দলদের সঙ্গে তৃণমূলের সংঘাত নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার বলেছেন, ‘কাটমানির ভাগাভাগির জন্য এই পরিস্থিতি। আমরা স্বচ্ছ পুরসভা উপহার দিতে চাই। যেখানে কোনও কাটমানি থাকবে না। ঠিকাদারদের পুরসভা হবে না।’
আরও পড়ুন টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী, সরতে না চাওয়ায় বাড়িতে হামলা, তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ অমলেশের
এদিকে, বাঁকুড়ায় পুরভোটে নির্দলদের দিয়ে তৃণমূলের মাথাব্যথা থাকলেও, দলের হুঁশিয়ারি কাজে এল বিষ্ণুপুরে। তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে বিষ্ণুপুরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেসের হয় মনোনয়ন পেশ করেন জয়শ্রী লোহার। তিনি সেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। তবে দলের নির্দেশে আজ তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচারে দেখা যায় কংগ্রেস প্রার্থী জয়শ্রীকে।
গতকাল চারটি পুরসভার ভোটের ফল প্রকাশিত হয়েছে। চারটি পুরসভাতেই বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে ১০৮টি পুরসভার ভোটের আগে নির্দল কাঁটা কিছুটা চিন্তায় রেখেছে তৃণমূল নেতৃত্বকে।