সৌভিক মজুমদার, অনির্বাণ বিশ্বাস ও রাজীব চৌধুরী, কলকাতা : পুরভোট নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করল বিজেপি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হল দলের তরফে। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।
বুধবার, সকাল সাড়ে ১০টায় শুনানি হওয়ার কথা। বিজেপির অভিযোগ, সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প চালিয়ে নিয়ে অনুমতি দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। প্রচারে সেগুলিকেই হাতিয়ার করছে শাসক দল। সেইসঙ্গে বিজেপির অভিযোগ, যাঁরা নির্দল হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করতে পেরেছেন, তাঁদেরও মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, বিজেপি সূত্রে খবর, তাদের হয়ে পুর মামলায় সওয়াল করবেন প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল রঞ্জিত কুমার। মোদি জমানার প্রথম দিকে, ২০১৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত রঞ্জিত কুমার সলিসিটর জেনারেল পদে ছিলেন।
৪ পুরসভার নির্বাচনে বিরোধীদের হারিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। কোনও পুরসভাতেই দুই অঙ্কে পৌঁছতে পারেনি বিরোধীরা। চার পুরসভার নির্বাচন নিয়ে ফের কলকাতা হাইকোর্টে যায় বিজেপি। ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হয়েছে তারা।
বিজেপির অভিযোগ, ৪ পুরসভার নির্বাচনে গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে। এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি পুরভোটে বাহিনী সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, বাহিনীর প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দেওয়ার পরে, কোথাও যদি গোলমাল হয়, তা হলে তার দায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের। এরপর শনিবার পুরভোটের দিন বিধাননগর থেকে আসানসোলে ওঠে ভুয়ো ভোটের অভিযোগ! আসানসোলে বোমাবাজি ও গুলি চালানোরও অভিযোগ ওঠে।
এই প্রেক্ষাপটে বিজেপির অভিযোগ, ৪ পুরসভার ভোটে ব্যাপক সন্ত্রাস হয়েছে। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও রাজ্য নির্বাচন কমিশন বিধিভঙ্গ করেছে। এ নিয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা দায়ের করেছেন বিজেপি নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন ধৃতরাষ্ট্রের মতো কাজ করেছে। তারা কেন্দ্রীয় বাহিনী নেবে না আমরা জানি। কারণ, রাজ্য সরকার বারণ করেছে।’’
অন্যদিকে ‘সাময়িক বরখাস্ত’ বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘‘এই পরাজয়ের পর কে পদত্যাগ করবেন, ঠিক করুন। অসহায় মজুমদার, টুইটার মালব্য, আপনারা বসে ঠিক করুন কারা এই হারের দায় নিয়ে পদত্যাগ করবেন। ভোটের ফল ভাল হলে তার কৃতিত্ব আপনারাই নিতেন। পরাজয়ের দায়ভারও আপনাদের নিতে হবে।''
২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের শতাধিক পুরসভার ভোট রয়েছে। সেই ভোটেও সন্ত্রাসের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিজেপি। পুরভোট নিয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ বিজেপি। গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল