নয়া দিল্লি:  দেশে শক্তিশালী নেতা না থাকলে, শহরে শহরে আফতাব তৈরি হবে। তাই ২০২৪’র লোকসভা ভোটে ফের নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী করা দরকার। এমনটাই মন্তব্য করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।


প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক দিন ধরে উত্তাল গোটা দেশ। সবায়ের মুখে মুখে শুধু একটাই আলোচনা, শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ড। নিজের প্রেমিকাকে ৩৫ টুকরো করা আফতাবের নৃশংসতায় কেঁপে উঠেছে গোটা দেশ। এরই মধ্যে গুজরাতের কচ্ছ জেলায় নির্বাচনী প্রচারে যান অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, দেশ সঠিক নেতৃত্বের হাতে না থাকলে প্রত্যেক আফতাবের মতো খুনিরা জন্মাতে পারে।                                       


হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, ‘দেশকে শক্তিশালী নেতৃত্বের হাতে তুলে দিতে হবে। দেশের সুরক্ষার জন্য ২০২৪ সালে তৃতীয়বারের জন্য নরেন্দ্র মোদিকে জেতানো অত্যন্ত প্রয়োজন। না হলে প্রত্যেক শহরে আফতাবরা জন্মাবে। আরও অসংখ্য লাভ জিহাদ হবে। আফতাব শ্রদ্ধাকে মুম্বাই থেকে দিল্লি নিয়ে এসে হত্যা করে। ৩৫টি টুকরো করে তার শরীর। তারপর তার শরীর ফ্রিজে রেখে বাড়িতে অন্য মেয়ে নিয়ে আসব। নরেন্দ্র মোদি দেশের সিংহাসনে না থাকলে এই ঘটনা আরও বাড়বে।


আরও পড়ুন, 'ইডি নাকি ছবি বিক্রির টাকা নিয়েও টানাটানি শুরু করবে', মন্তব্য শুভেন্দুর


এদিকে, দিল্লির ছত্তরপুরে শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পুলিশের হাতে এল সিসিটিভি ফুটেজ। লিভ ইন পার্টনারের দেহাংশ ফেলতে শেষবার জঙ্গলে যাওয়ার সময় আফতাবের ছবি ধরা পড়ে ক্যামেরার, অনুমান পুলিশের। এদিনই আফতাবের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ধারাল অস্ত্র। এই অস্ত্র দিয়েই শ্রদ্ধার শরীর টুকরো টুকরো করা হয় বলে অনুমান তদন্তকারীদের।                                                                            


পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় আফতাব জানিয়েছে, ১৮ মে শ্বাসরোধ করে শ্রদ্ধাকে খুন করে সে। ওইদিন দেহে রেখে দেয় বাথরুমে। পরের দিন ধারাল অস্ত্র ও ফ্রিজ কিনে আনে। ১০ ঘণ্টা ধরে শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে। ভাল করে রক্ত ধুয়ে টুকরোগুলি পলিথিনে মুড়ে ঢুকিয়ে রাখে ফ্রিজে। তারপর ১৮ দিন ধরে গভীর রাতে লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধার দেহাংশ ছড়িয়ে দেয় ছত্তরপুর এবং মেহরুলির জঙ্গলে। তদন্তকারীদের অনুমান, খুনের পাঁচ মাস পর গত ১৮ অক্টোবর শেষবার ফেলা হয়েছিল শ্রদ্ধার মাথা, হাত ও শরীরের আর একটি অংশ। কাজ হাসিল করার জন্য অফতাব ওইদিন ভোরে ওই রাস্তায় ৩বার যাতায়াত করে।