ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: বোর্ড মিটিং চলাকালীন বিজেপির (BJP) মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানের ওপর হামলার অভিযোগ উঠল। মহম্মদবাজার ব্লকের কাপিষ্ঠায় বিজেপি (BJP) পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধানকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। তিনি মহম্মদ বাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করলে প্রধানের স্বামী ও ছেলের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছে তৃণমূল (TMC)। বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, গত ২১ ডিসেম্বর ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ দায়ের করা হলেও, সেই ঘটনায় পুলিশ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।
ঘটনায় পুলিশের গা ফিলতিরও অভিযোগ তোলা হয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগ, দোষীদের গ্রেফতার করা হয়নি। উল্টে তার ছেলে ও স্বামীকে গ্রেফতারের হুমকি দেওয়া শুরু হয়। এমনকি তাঁদের বাড়িতে পুলিশ অত্যাচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। হেনস্থার অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার দুপুরে মহম্মদ বাজার থানার অফিসারদের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা। সঙ্গে ছিলেন বেশকিছু কর্মী, সমর্থক। যদিও সে সময়ে থানায় ওসি ছিলেন না ঘটনাস্থলে। বিজেপির অভিযোগ, ওই এলাকায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা প্রধানকে হুমকি দিচ্ছে।
সেই কারণে পুলিশের দ্বারস্থ হন প্রধান। অথচ তাঁর বাড়িতেই অত্যাচার চালাতে শুরু করে পুলিশ। ধ্রুব সাহার অভিযোগ জানান, নির্বাচিত মহম্মদ বাজার থানার ওসি দলদাসের মতন কাজ করছেন।” তারা এর বিরুদ্ধে বীরভূমের পুলিশ সুপারের কাছেও অভিযোগ জানাবেন বলেছেন। উল্লেখ্য,আগামী ১৫ জানুয়ারি মহম্মদবাজার থানা ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে বিজেপি।
তৃণমূল কাউন্সিলরকে হুমকি: কিছুদিন আগে সোনারপুরে তৃণমূল কাউন্সিলরকে বিয়ের প্রস্তাব ঘিরে তুলকালাম বাঁধে। অভিযোগ ওঠে তৃণমূলেরই যুবনেতার বিরুদ্ধে। রাজি না হওয়ায় কাউন্সিলরকে হুমকির অভিযোগও উঠেছিল। বাড়িতে ঢুকে মত্ত অবস্থায় কাউন্সিলরের মা-বাবাকেও গালিগালাজ করা হয়। রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া হালদারের বাড়িতে গিয়ে হুমকির অভিযোগ। তৃণমূল নেতা প্রতীক দে-র বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ। বাড়ি থেকে বেরোলে শারীরিক হেনস্থার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কাউন্সিলর। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেন যুব তৃণমূল নেতা।
অভিযোগকারী কাউন্সিলর বলছেন, 'শুধুমাত্র তার বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্য়ান করেছি এবং তার কিছু তোলাবাজির বিরুদ্ধে কথা বলেছি, তার জন্য আমাকে যদি বারংবার করে তার ও সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে বারংবার করে বলা হয়, পদত্য়াগ করতে হবে, পদত্যাগ করতে হবে। আমার মানুষের কাছে একটাই প্রশ্ন, আমাকে পদত্যাগ কেন করতে হবে?' পাশাপাশি তিনি এও জানান, বহুদিন ধরেই তাঁকে বিরক্ত করছিলেন ওই ব্যক্তি। এমন কী, অন্য়দের কাছে বিবাহিতা স্ত্রী বলেও পরিচয় দিয়েছেন।