তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: বাঁকুড়া (Bankura) মানেই সারাবছরই পর্যটকদের (Tourist) আনাগোনা। তবে করোনাকালে সেই ব্যবসায় ভাটা পড়েছে বেশ খানিকটা। এবার পর্যটকদের সুবিধার্থে বিশেষ উদ্যোগ নিল বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। 'মন্দিরনগরী' হিসেবে পরিচিত বিষ্ণুপুরে (Bishnupur) এবার জেলা পুলিশের উদ্যোগে কাজ শুরু করল ট্যুরিস্ট পুলিশ। আপাতত ৬ জন পুরুষ ও ২ জন মহিলা কর্মী এই কাজে ইতিমধ্যেই নিযুক্ত হয়েছেন। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজন অনুযায়ী এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে। ঘুরতে আসা প্রত্যেকের নিরাপত্তা ও সুযোগ সুবিধার দায়িত্ব নিচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। 


বিষ্ণুপুরে আসা এক পর্যটকের কথায়, 'শুধু মেয়েরা দল বেঁধে যাঁরা ঘুরতে আসেন তাঁদের নিরাপত্তার জন্য এই উদ্যোগ খুবই ভাল। এখানে সকলে খুবই হেল্পফুল। যে কোনও প্রয়োজনে সাহায্য পাচ্ছি।' বিষ্ণুপুরের এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খানের কথায়, 'এখানে বিষ্ণুপুরের মেলা খুবই বিখ্যাত। তাছাড়া প্রায় সময়েই এখানে পর্যটকেরা আসেন। তাঁদের সমস্ত রকমের সাহায্য ও সুরক্ষার দায়িত্ব নিতেই এই উদ্যোগ। এখানে প্রাচীন যে সকল মন্দির রয়েছে সব জায়গা ঘুরিয়ে দেখানোও হবে।'


আরও পড়ুন: Howrah News: নিখাদ প্রেমের টানে ঘর বাঁধার স্বপ্নে বাড়ি ছেড়েছিলেন নিশ্চিন্দার দুই জা?


এক সময়ের মল্লদের রাজধানী বিষ্ণুপুর। বছরের বিভিন্ন সময় দেশ বিদেশের অসংখ্য পর্যটক পোড়ামাটির অপরূপ সৌন্দর্য্য মণ্ডিত মন্দির আর হস্তশিল্পের টানে ছুটে আসেন এই বিষ্ণুপুরে। শীতের মরসুমে সেই সংখ্যা আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। পর্যটকরা এখানে এসে রাসমঞ্চ, শ্যামরাই মন্দির, মাকড়া পাথরে নির্মিত জোড় শ্রেণীর মন্দির, জোড়বাংলা মন্দির, দলমাদল কামান, ছিন্নমস্তা মন্দির ঘুরে লালবাঁধের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করেন। কী নেই এই বিষ্ণুপুরে? মন্দিরের দীর্ঘ তালিকার পর রয়েছে বালুচরি, স্বর্ণচুরি আর পোড়ামাটির শিল্পকর্ম। যেই যান, এই সমস্ত হস্তশিল্প সংগ্রহ করে বাড়ি ফেরেন। এবার সেই সব আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি গাইড হিসেবেও কাজ করবেন এই ট্যুরিস্ট পুলিশ কর্মীরা। একই সঙ্গে পর্যটকদের সুবিধার জন্য চালু করা হয়েছে হেল্প লাইন নম্বর। জেলা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে এই হেল্প লাইন নম্বর হল ৭৮৬৬৮২৫২২৩।