হাওড়া: শুধুমাত্র ভালোবাসার টানে ঘর ছেড়েছিলো নিশ্চিন্দার (Howrah-Nischinda) দুই গৃহবধূ (Housewife)। এমনই তথ্য উঠে এলো পুলিশি জেরায়। গতকাল নিশ্চিন্দা দুই গৃহবধূ এবং তাদের দুই প্রেমিককে আটক করে থানায় নিয়ে আসার পর জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ এই তথ্য জানতে পারে। উল্লেখ্য, গত ছয় মাস আগে নিশ্চিন্দার আনন্দ নগরের কর্মকার পরিবারের বাড়ি মেরামতের সময় দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই পরিবারের দুই বধুর। তারপর থেকেই তাঁরা ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। অবশেষে গত ১৫ ডিসেম্বর কেনাকাটার নাম করে বেরিয়ে তাঁরা দুজনের সঙ্গে পালিয়ে যান। মুম্বই থেকে ফিরে আসার পথে আসানসোল স্টেশন থেকে তাদের আটক করে নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ। আজ তাদের হাওড়া আদালতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, পারিবারিক অশান্তি কিছু ছিল।জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সূত্রে অনুমান, এক্ষেত্রে অর্থের কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ, যাঁদের সঙ্গে ওই দুই গৃহবধূ পালিয়েছিলেন, তাঁরা এমন কিছু অর্থবান নয়। কিন্তু তাঁদের প্রতি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন দুই গৃহবধূ।
জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া সন্তানকে তার বাবা ও দাদু-দিদার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। একই পরিবারের তিনজন নিখোঁজের রহস্যভেদ হয়েছিল আগেই। হাওড়ার নিশ্চিন্দার দুই জা এবং তাঁদের সন্তানকে এরপর উদ্ধারও করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, অপহরণের অভিযোগে দুই গৃহবধূর দুই প্রেমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কয়েক দিন আগেও, হাওড়া থেকে মুম্বইয়ে পাড়ি দিয়ে যাঁদের উদ্ধারের পরিকল্পনা করছিলেন গোয়েন্দারা, বুধবার তাঁরাই পুলিশের জালে পড়েন আসানসোলে। পুলিশ সূত্রে খবর, আসানসোল স্টেশনে সাদা পোশাকে তৈরি ছিল তাদের টিম। দুই জা, সাত বছরের শিশু সন্তান ও দুই রাজমিস্ত্রি যখন ট্রেন পাল্টানোর জন্য প্ল্যাটফর্মে ঘোরাঘুরি করছিলেন, তখনই তাঁদের ধরা হয়।
পরিবারের দাবি, শীতের পোশাক কেনার জন্য গত ১৫ ডিসেম্বর হুগলির শ্রীরামপুরে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরোন তাঁরা। সঙ্গে ছিল ছোট জায়ের সাত বছরের সন্তান।তারপরই তাঁরা নিখোঁজ হয়ে যান। সোমবার পুলিশের তরফে জানানো হয়, মুর্শিদাবাদের সুতির বাসিন্দা দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে বিবাহবহির্ভুত সম্পর্কে জড়িয়েছেন দুই জা! প্রথম তাঁদের কাছে মুর্শিদবাদের সুতিতে যান দুই মহিলা।১৬ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদের সুতি থেকে মুম্বই পাড়ি দেন ৫ জন। আর্থিক কারণে বাণিজ্যনগরীতে এক রাত থেকে আবার রাজ্যে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। পুলিশের অনুমান, মুর্শিদাবাদে আলাদা করে সংসার পাতার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। আসানসোল স্টেশনে ধরা গেলেন সবাই।