পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: বিজেপিতে বিদ্রোহ: বাঁকুড়ায় (Bankura) মণ্ডল সভাপতির পদ নিয়ে ফের বিজেপিতে (BJP) বিদ্রোহ। পাত্রসায়রের প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতির পর, এবার মুখ খুললেন অম্বিকানগর পঞ্চায়েতের বিজেপি (bjp) সদস্য। কোনও বক্তব্য থাকলে দলেই বলা উচিত, বললেন জেলা সভাপতি। আর এনিয়ে গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল (TMC)।
বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন: সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে বিজেপিতে ফের ‘বিদ্রোহ’। ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই বিজেপির বাঁকুড়া (Bankura) ও বিষ্ণুপুর (Bishnupur) সাংগঠনিক জেলার মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন হয়। তাতে বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত রানিবাঁধ উত্তর মণ্ডলের সভাপতি করা হয় তপন মাহাতোকে। আর এতেই ক্ষুব্ধ অম্বিকানগর পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য গৌতম মাহাতো।
নতুন মণ্ডল সভাপতির নাম ঘোষণা হওয়ার পরই, জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন অম্বিকানগর পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য গৌতম মাহাতো।
নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া: রানিবাঁধের অম্বিকানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য গৌতম মাহাতোর কথায়, জেলা সভাপতি মদ গাঁজা খেয়ে কিংবা অর্থের লেনদেনে এমন লোককে মণ্ডল সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছেন। পঞ্চায়েত সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করতেই ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি।
বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডলের কথায়, দলের বিষয়ে কোনও খবর থাকলে সংবাদমাধ্যমকে না জানিয়ে আমাকে কিংবা দলকে জানাতে পারত, দলের মধ্যে আরও জায়গা আছে যোগ্য জায়গা দেওয়া হবে।
এর আগে একই ইস্যুতে বিদ্রোহের সুর দেখা গিয়েছিল বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলাতেও। পাত্রসায়রের ২ নম্বর মণ্ডল সভাপতির পদ খুইয়ে দলের বিধায়ক, সাংসদ ও জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন তমালকান্তি গুঁই। কমিটি নিয়ে বিজেপিতে গোষ্ঠীদন্দ্ব। কটাক্ষ তৃণমূলের। সব মিলিয়ে মণ্ডল সভাপতির পদ নিয়ে সরগরম জঙ্গলমহলের জেলা।
মুর্শিদাবাদে বিজেপিতে ফাটল: বিজেপির মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতিকে ঘিরে নবাবের জেলায় আরও তীব্র হল কোন্দল! সভাপতিকে তীব্র আক্রমণ করে ইস্তফা দিলেন দুই বিজেপি নেতা। যদিও বিদ্রোহীদের গুরুত্ব দিচ্ছেন না বিজেপি জেলা সভাপতি। আর এই নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল।