উত্তর ২৪ পরগনা, সমীরণ পাল: দরজায় তালা ঝুলিয়ে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েছেন কেউ। তো কর্মসূত্রে কেউ বাইরেই থাকেন। তার সুযোগ নিয়ে অশোকনগরে (Ashoknagar News) হানা দিল চোরের দল। এক দিনে পর পর ছ’টি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে (Theft)। তবে সোনাদানা এবং নগদ টাকাই শুধু নিয়ে গিয়েছে চোরের দল। বাড়িতে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র তারা ছুঁয়েও দেখেনি বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।


একই দিনে পর পর ছয় বাড়িতে চুরি


উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas News) অশোকনগরের কল্যাণগড় পৌরসভার অন্তর্গত ২২ নম্বর ওয়ার্ডের শক্তিনগর এলাকার ঘটনা। সেখানে পর পর ছ’টি বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ছ’টি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে, তাদের বাসিন্দারা হয় বিয়ে বাড়িতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েছিলেন, নয়ত বা কর্মসূত্রে বাড়ির বাইরে ছিলেন। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই শঠিবাড়ি থেকে চুরি গিয়েছে মূল্যবান সম্বল।


চুরি যাওয়া জিনিসপত্রের তালিকায় রয়েছে সোনাদানা, নগদ টাকা। জানলার গ্রিল ভেঙে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ঢুকেছিল চোরের দল। ঘরে ঢুকে শুধু সোমনাদানা বা টাকাকড়িই ঝেড়েবেছে নিয়ে গিয়েছে চোরের দল। দামি টেলিভিশন সেট, রেফ্রিজারেটর, কাঁসা এবং পিতলের বাসনপত্র চোখের সামনে পড়ে থআকলে, তাতে হাত ছোঁয়ায়নি তারা।


আরও পড়ুন: Murshidabad News: ডোমকলে পিক আপ ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাসের, মৃত্যু চালকের, আহত কমপক্ষে ১২


স্থানীয়দের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে এই চুরির ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা যায়নি। তবে যে বাড়িগুলিতে চুরি হয়েছে, সেখানে তল্লাশি চালিয়ে ছেনি, বাটালি এবং অন্য সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেগুলির সাহায্যেই জানলা ভেঙে চোরের দল ঘরে ঢোকে বলে অনুমান পুলিশের। সব মিলিয়ে ওই ছ’টি বাড়ি থেকে ২ লক্ষ টাকার বেশি সোনাদানা এবং নগদ চুরি গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।


অপরাধমূলক ঘটনা বেড়ে চলেছে রাজ্যে


তবে গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যে অপরাধমূলক কাজকর্ম বেড়েই চলেছে। রবিবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থেকে গড়াগাছাগামী বাস থেকে উদ্ধার হয় বিস্ফোরক। এই ঘটনায় এজবুল শেখ নামের এক জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের কাছ থেকে ৪ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে জেরা করে রবিউল শেখের হদিশ মেলে।


পুলিশ জানিয়েছে, রবিউলই বিস্ফোরক বিক্রি করেন। তাঁর বাড়ি থেকে আরও ২ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের দাবি, বিহার থেকে বিস্ফোরক আনতেন রবিউল। সেগুলি পাচারকারীদের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে যেত। এই চক্রে আর কারা জড়িত তার খোঁজ চলছে।


এর আগে, কলকাতার হরিদেবপুরে পরিত্যক্ত অটোর মধ্যে থেকে বিপুল পরিমাণ বোমা এবং আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। হরিদেবপুরের ঘটনাস্থলের পাশেই রয়েছে শিশুদের হোম। অত্যন্ত বিপজ্জনক ঘটনায় উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী।