বাঁকুড়া: হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত বিঘার পর বিঘার জমি (Elephant Attack)। হাতির পায়ের নিচে থেঁতলে গিয়েছে কয়েক কুইন্টাল আলু (Potatoes Mashed)। তাতে দিশাহারা অবস্থা বাঁকুড়ার কৃষকদের একাংশের (Bankura News)। বার বার হাতির এমন উপদ্রবে স্থানীয়দের ক্ষোভ গিয়ে পড়ল বন দফতরের উপর (Forest Department)। বন দফতরের আধিকারিকদের রাতভর আটকে রাখলেন গ্রামের কৃষকরা। 


বন দফতরের আধিকারিকদের রাতভর আটকে রাখলেন গ্রামের কৃষকরা


বাঁকুড়ার বড়জোড়া রেঞ্জের রাওতড়া গ্রামের ঘটনা। গ্রামবাসীদের দাবি, বৃন্দাবনপুর বিট থেকে প্রায় ২৭টি হাতির একটি দল শালী নদী পেরিয়ে ঢুকে পড়ে সংগ্রামপুর বিটে। বিঘার পর বিঘা আলুর জমি মাড়িয়ে দেয় হাতির দল।


গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বনকর্মীরা হাতির দলকে রুখতে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। বার বার তা নিয়ে অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা হয়নি। তাতেই প্রতিবাদ জানাতে শনিবার রাতভর বন দফতরের আধিকারিকদের আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। 


আরও পড়ুন: Kolkata News: গঙ্গার ধারে সেলফি তুলতে গিয়ে নিখোঁজ, ৯ দিন পর উদ্ধার ছাত্রের দেহ


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল সন্ধে পর্যন্ত বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় রেঞ্জের বৃন্দাবনপুর বীট এলাকায় ছিল হাতির দল। গতকাল রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বৃন্দাবনপুর বীট এলাকা থেকে প্রায় ২৭টি হাতির একটি দল শালী নদী পেরিয়ে ঢুকে পড়ে বড়জোড়া রেঞ্জের সংগ্রামপুর বীট এলাকার রাওতড়া গ্রাম লাগোয়া ফসলের জমিতে। বন দফতরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতেই বিঘের পর বিঘে জমির আলুর জমি মাড়িয়ে দেয় হাতির দল।


বন কর্মীদের টালবাহানায় ফসলের বিপুল ক্ষতি হয়েছে এই দাবি তুলে বন দফতরের আধিকারিকদের রাতভর আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় কৃষকরা। স্থানীয়দের বিক্ষোভে গ্রামেই আটকে থাকেন বড়জোড়া রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার, বীট অফিসার-সহ বেলিয়াতোড় থানার পুলিশ আধিকারিকরা। 


প্রায় ২৭টি হাতির একটি দল শালী নদী পেরিয়ে ঢুকে পড়ে সংগ্রামপুর বিটে


রবিবার সকালে বেলিয়াতোড় থানার বিশাল পুলিশবাহিনী গ্রামে গিয়ে বন দফতরের আধিকারিকদের উদ্ধার করে। স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের দাবি, ঋণ নিয়ে আলুর চাষ করেছিলেন এলাকার সকলে। বার বার হাতির দলের হানায় বিপুল ক্ষতি হলেও বন দফতরের তরফে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ মিলছে না। এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত অসহায় স্থানীয় কৃষকরা। এ বার উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না মিললে, আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামের মানুষ।