তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: মাঝরাতে বিধ্বংসী আগুন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে (Bishnupur)। মোবাইলে দোকানে আগুন লেগে পুড়ে ছাই সব সামগ্রী। দমকলের দুটি ইঞ্জিনের তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কীভাবে লাগল আগুন? নেপথ্যে শর্ট সার্কিট বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।


বিধ্বংসী আগুন বাঁকুড়ায়: বিষ্ণুপুর শহরের রবীন্দ্রস্ট্যাচু এলাকায় মধ্যরাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মোবাইল দোকানে আগুন লাগে। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয় দমকলকেও। তড়িঘড়ি দমকলের দুটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। ততক্ষণে সমস্ত কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মোবাইল দোকানটি ঠিক যেন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। আগুন লাগার সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে শর্ট সার্কিটের জেরেই এই আগুন লেগেছে দোকানে।


ঠিক কী ঘটেছিল?


মোবাইলের দোকানের মালিক জানাচ্ছেন, মোবাইল সহ বাকি সব সামগ্রী মিলিয়ে প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা ক্ষতিহয়েছে। প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতেও দশটা নাগাদ দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান ওই দোকানের মালিক। প্রায় মাঝরাতে পুলিশ ফোন করে জানায় তাঁর দোকানে আগুন লেগেছে। সব হারিয়ে কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। সরকারি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। 


আর এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সপ্তাহান্তে ফের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এরাজ্যে। রবিবারের সকালে আনন্দপুরে ফর্টিস হাসপাতালের কাছে ইএম বাইপাসের ধারে ঝুপড়িতে ভয়াবহ আগুন লাগে। একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ভস্মীভূত হয়ে যায় পরপর ঝুপড়ি। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর লড়াই চালায়। সকাল ঝোড়া দমকা হাওয়ার  পাশাপাশি, একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের জেরে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দাউদাউ করে জ্বলে যায় একাধিক ঝুপড়ি। আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান স্থানীয়রাও। এলাকায় একাধিক হোটেল রয়েছে। রয়েছে বসতিও। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড থেকে শুরু করে ঝুপড়িবাসী বহু মানুষের যথাসর্বস্ব পুড়ে গিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।   


আরও পড়ুন: Sandeshkhali Chaos: অধরা শেখ শাহজাহান, বেপাত্তা সিরাজও, জমছে অভিযোগের পাহাড়