পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) 'কৃতজ্ঞতা' জানাতে দিল্লি রওনা হচ্ছেন বাঁকুড়া-১ ব্লকের চতুরডিহি গ্রামের বিভীষণ হাঁসদা। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতের ট্রেনেই স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে তিনি দিল্লি (Delhi) রওনা দিচ্ছেন।


উল্লেখ্য, ২০২০ সালের নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাঁকুড়া সফরে এসে চতুরডিহি গ্রামের বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে এসে মধ্যাহ্নভোজন সারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। সেই সুযোগে মেয়ের অসুস্থতার কথা বিভীষণ হাঁসদা তাঁকে জানালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।গ্রামের বাড়িতে বসে বিভীষণ হাঁসদা বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আমার বাড়িতে এসেছিলেন। মেয়ের অসুস্থতার কথা তিনি জানতে পেরে প্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবস্থা তিনি করেছেন। তাই তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাতে আজ রাত আটটার ট্রেনে তিনি দিল্লি রওনা হচ্ছেন বলে জানান।


ফের আরও একবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ-র সঙ্গে দেখা হবে, এই ভেবেই ভীষণ 'এক্সাইটেড' বলেই জানিয়েছে বিভীষণ হাঁসদার মেয়ে রচনা হাঁসদা। তার কথায়, আমার সমস্ত চিকিৎসার খরচ উনি চালাচ্ছেন। তাঁর সাথে দেখা করে কৃতজ্ঞতা জানাবে বলে সে জানায়।বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেন, বিভীষণ হাঁসদা ও তার পরিবারের নিয়মিত খোঁজ খবর রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্থানীয় সাংসদের মাধ্যমে তাঁর মেয়ের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা ও ওষুধের ব্যবস্থা করেছেন। আর তাই কৃতজ্ঞতা জানাতেই বিভীষণ হাঁসদাদের দিল্লি যাত্রা বলে তিনি জানান।


অন্যদিকে তৃণমূল নেতা মহাপ্রসাদ সেনগুপ্তের দাবি, 'তৎকালীন সময়ে খবরের শিরোনামে আসা বিভীষণ হাঁসদার পরিবারের পাশে তাঁরাই ছিলেন। চিকিৎসা-পোশাকের ব্যবস্থা প্রশাসন করেছিল। এখন লোকসভা ভোটের আগে 'প্রচারে'র উদ্দেশ্যে বিভীষণ হাঁসদাকে দিল্লি 'নিয়ে যাওয়া হচ্ছে' বলে তিনি দাবি করেন।


আরও পড়ুন, 'ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে কোটি কোটি টাকা..', দেবকে নিয়ে বিস্ফোরক হিরণ


প্রসঙ্গত, বাংলায় তখন জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে বিধানসভা ভোটের। জনতার দরজায় দরজায় ঢুঁ মারছেন রাজনীতির কারবারিরা। ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর চতুরডিহি গ্রামে এই আদিবাসী বাড়িতে এসেছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে পাত পেড়ে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন তিনি। তখনই অমিত শাহকে, নিজের মেয়ের অসুস্থতার কথা বলেছিলেন পেশায় দিনমজুর বিভীষণ। সব শুনে দিল্লির এইমসে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন অমিত শাহ।এরপরই আদিবাসী পরিবারকে নিয়ে দড়ি টানাটানি শুরু হয়ে যায় তৃণমূল আর বিজেপির। পালা করে বিভীষণের বাড়ি ছুটে যান দু’দলেরই নেতারা। তুলে দেওয়া হয় সাহায্য।