পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার দুই সাংগঠনিক জেলার নতুন দুই সভাপতিকে সংবর্ধনা জানাতে করোনা বিধি ভেঙে বিপুল জমায়েত করল তৃণমূল। তার আগে দুজনকে সঙ্গে নিয়ে বাঁকুড়ার কলেজ মোড় থেকে মিছিল করে দলের কর্মী সমর্থকরা তৃণমূল ভবনে যান।


গত লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের ভরাডুবির পর তৃনমূল বাঁকুড়া জেলাকে দুটি সাংগঠনিক ভাগে ভেঙে দুটি পৃথক সভাপতির পদ তৈরি করে দুজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ফের এক জেলা এক নীতির পথে হেঁটে একজনকেই জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। 


সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে ফের বাঁকুড়া জেলায় ধাক্কা খায় তৃণমূল। জেলার ১২টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র চারটিতে জয়ী হয় তৃণমূল। 


আর এরপর সম্প্রতি দলের সাংগঠনিক ক্ষেত্রে বড়সড় রদবদল ঘটায় তৃণমূল। দিনকয়েক আগে তৃণমূলের জেলা সভাপতির পদ থেকে শ্যামল সাঁতরাকে সরিয়ে ফের বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর দুটি সাংগঠনিক জেলায় ভেঙে দুজনকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়।


বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হিসাবে দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র ও বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয় বড়জোড়ার বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায়কে। 


আজ নতুন দুই জেলা সভাপতি সহ তালডাংরার বিধায়ক অরুপ চক্রবর্তীকে সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করে তৃণমূল। এদিন সকাল থেকে এই কর্মসূচি উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাতারে কাতারে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা হাজির হন বাঁকুড়া শহরের কলেজ মোড়ে। 


জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে হাজির হয়ে মিছিল শুরু করেন তাঁরা। মিছিলে শিকেয় ওঠে কোভিড বিধি। বিজেপির দাবি, বিরোধী দলের পক্ষ থেকে এই ধরনের জমায়েত করলে সেক্ষেত্রে কোভিড বিধির কারণ দেখিয়ে পুলিশ তার অনুমতি দিত না। জমায়েত দেখে মনে হচ্ছে শাসক দলের কোভিড বিধি মানার কোনো দায় নেই। 


তৃণমূলের নতুন দায়িত্ব পাওয়া জেলা সভাপতির পাল্টা দাবি, দলের কর্মী-সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ও আবেগে লাগাম পরানো যায়নি। তাই এই ঘটনা ঘটেছে।