প্রসূণ চক্রবর্তী, বাঁকুড়া: সাংসারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীর গলায় কুড়ুলের কোপ বসিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার শালতোড়া থানার বরশাল গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। মৃতের নাম ছায়া বাউরী।


স্থানীয় সূত্রে খবর,  বছর ১৫ আগে শালতোরার বরশাল গ্রামের বাসিন্দা জপহরি বাউরী সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ছায়া বাউরীর। অভিযোগ, তারপর থেকেই সাংসারিক অশান্তি লেগেই থাকত পরিবারে। শুক্রবার সেই সাংসারিক অশান্তি চরমে পৌঁছে যায়। বিবাদের মধ্যেই স্ত্রীর গলায় কুড়ুল দিয়ে জপহরি  আঘাত করেন বলে  অভিযোগ। কুড়ুলের কোপ বসে যায় গলায়। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান জপহরির স্ত্রী ছায়া বাউরী।  অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে শালতোড়া থানার পুলিশ। ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহটিকে বাঁকুড়া সম্মেলনীতে পাঠিয়েছে বাঁকুড়া জেলার শালতোড়া থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে বাঁকুড়া কোর্টে পেশ করার জন্য নিয়ে যায়  শালতোড়া থানার পুলিশ।


এদিকে, পূর্ব বর্ধমানের কালনায় যুবক খুনের ঘটনায় স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, মোকশেদ শেখের স্ত্রী মানোয়ারা বিবির সঙ্গে মোকশেদের বন্ধু মানিক মণ্ডলের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পথের কাঁটা স্বামীকে সরাতে প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে খুনের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেন মানোয়ারা। পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের দিন মানোয়ারাই স্বামীকে তাঁর প্রেমিক মানিক মণ্ডলের সঙ্গে যেতে বাধ্য করেন। এননকি গাড়িতে যাওয়ার সময় সন্দেহ এড়াতে কী করণীয় তা নিয়ে প্রেমিককে নির্দেশ দেন মানোয়ারা। খুনের পর প্রেমিককে মোবাইলে ফোন করে জখম সাজার নাটকও করতে বলেন তিনি, এমনটাই দাবি তদন্তকারীদের। বন্ধুকে খুনের পর, তাঁর স্ত্রীর কথা শুনে সেইভাবেই নাটক সাজিয়েছিল প্রেমিক মানিক মণ্ডল। কিন্তু শেষপর্যন্ত পুলিশ তাকে ধরে ফেলে।