পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: ভরা বর্ষার সময়। কিন্তু সেভাবে বৃষ্টি নেই। বৃষ্টির অভাবে ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্ছে নালা। জলের অভাবে সমস্যা পড়ছে কৃষকরা। এই সময়েই সেচ দফচরের ভূমিকায় হাসি ফুটল চাষিদের (Farmer) মুখে। চাষের জন্য জল ছাড়ল কংসাবতী সেচ দফতর। দুটি ক্যানেল দিয়ে ৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে কংসাবতী সেচ দফতরের তরফে।
চাষিদের সুবিধা দিতে পদক্ষেপ:
বৃষ্টি কম হওয়ায় ধান চাষ নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন চাষিরা। এই সময়ে বৃষ্টির ঘাটতি দেখা গেলে আমন ধানের চাষে সমস্যা হয়। ফলে চাষিদের সমস্যার কথা মাথায় রেখেই মুকুটমনিপুর (Mukutmanipur) কংসাবতী জলাধার থেকে ক্যানেল দিয়ে জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংসাবতী সেচ দফতর।
কীভাবে জল ছাড়া হচ্ছে:
বৃহস্পতিবার লেফট ব্যাংক রিভার ও রাইট ব্যাংক রিভার দিয়ে জল ছাড়া শুরু করেছে কংসাবতী সেচ দফতর। লেফট ব্যাংক ম্যান ক্যানেল দিয়ে ৪৫০০ কিউসেক এবং রাইট ব্যাংক ম্যান ক্যানেল (Canal) দিয়ে ১৫০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। দুটি ক্যানেল দিয়ে জল ছাড়ার কারণে ঝাড়গ্রাম ও দক্ষিণ বাঁকুড়ার একটা অংশ, অন্যদিকে বিষ্ণুপুর, জয়পুরের দিকের একটা অংশে সেচের সুবিধা পাবেন কৃষকরা।
দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা (Rain) দুর্বল। বৃষ্টিতে ঘাটতি রয়েছে একাধিক জেলায়। কিন্তু এখন শ্রাবণ মাস। গোটা আষাঢ়ে বৃষ্টি তেমন একটা হয়নি। তারপর শ্রাবণ মাসেও সেই অর্থে টানা বৃষ্টি হয়নি। ভারতে তথা বাংলায় মূলত বৃষ্টির জলের উপরেই চাষ নির্ভর করে। ফলে বৃষ্টি যদি ঠিকমতো না হয়, তাহলে সরাসরি প্রভাব পড়ে চাষের উপর। চাষ খারাপ হলে তার প্রভাব পড়ে গ্রামীন অর্থনীতিতে। এই পরিস্থিতিতে যাতে চাষের কাজে সমস্যা না হয়। তার জন্য জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেচ দফতর।
আরও পড়ুন: ফের বাড়ল রাজ্যের দৈনিক কোভিড-গ্রাফ, নতুন সংক্রমণ দেড় হাজার ছুঁইছুঁই