তুহিন অধিকারী, কোতুলপুর: তোয়াক্কা নেই ট্রাফিক আইনের (Traffic Rule)। কর্ত্যবরত পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে মোটর সাইকেলে চেপে পালানোর চেষ্টা। কিন্তু ধরা পড়ে গেলেন আইন অমান্যকারী ব্যক্তি। ভেবেচিন্তে মোক্ষম সাজা দেওয়া হল তাঁকে। যে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করে পালাচ্ছিলেন, সেই ট্রাফিকই আধ ঘণ্টা সামলানোর দায়িত্ব চাপল কাঁধে।
ট্রাফিক আইন ভাঙায় অভিনব শাস্তি এক ব্যক্তিকে
বাঁকুড়া (Bankura News) জেলার কোতুলপুরের (Katulpur News) ঘটনা। রোজকার মতো শনিবার সকালে টহল চলছিল ট্রাফিক পুলিশের। নেতাজি মোড়ে কোতুলপুর-জয়পুর ট্রাফিক ওসি অলকেশ পতির নেতৃত্বে হেলমেট বিহীনদের বিরুদ্ধে চলছিল অভিযান। বিরাট পুলিশ বাহিনী হেলমেট, গাড়ির কাগজপত্র, চারচাকার সিটবেল্টের চেকিং করছিল।
সেই সময়ই ট্রাফিক আইন ভেঙে বাইক নিয়ে এগিয়ে যান এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তিকে ট্রাফিক আইন ভেঙে এগিয়ে যেতে দেখে বেজায় রেগে যান ট্রাফিক ওসি অলকেশবাবু। ট্রাফিক পুলিশের একটি দল ওই ব্যক্তিকে আটকান। তার পর শুরু হয় শাস্তির বিধান নিয়ে কথাবার্তা।
আরও পড়ুন: ৩০ দিনের বেশি গৃহহীনদের ৫ লক্ষ, ভাড়াটেদের ১.৫ লক্ষ, বউবাজারে ঘোষণা ফিরহাদের
রোদে-গরমে দাঁড়িয়ে রাস্তায় ডিউটি করেন ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা। তার পরেও লাগাতার ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন চলে। তাই ওই ব্যক্তির ঘাড়েই ট্রাফিক আইন সামলানোর ভার তুলে দেন ট্রাফিক ওসি অলকেশবাবু।
আইন ভেঙে আইন রক্ষারই দায়িত্বে
এমন অভিনব শাস্তির কারণ জানতে চাইলে ট্রাফিক ওসি অলকেশবাবু বলেন, কোতুলপুরের মানুষজনকে বার বার আচরণ সংশোধন করতে বলা হয়েছে। জরিমানাও করা হয়েছে তার জন্য। কিন্তু কেউ কথা শোনেননি। তাই এমন অভিনব শাস্তি দিয়েছেন তিনি। এ দিন ওই ব্যক্তি প্রায় আধঘণ্টা ট্রাফিক সামলান। তবে দোষ যে করেছিলেন, তাও স্বীকার করে নেন তিনি।
ফের অস্ত্র উদ্ধার বীরভূমের নানুরে
এ দিকে, ফের অস্ত্র উদ্ধার নানুরে। ভোর রাতে বীরভূমের নানুর থানার হাটসেরান্দি গ্রামের কাছে রাস্তার উপর তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্রশস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় ফের চাঞ্চল্য এলাকায়। উঠেছে প্রশ্নও। বীরভূমে কেন বার বার হদিশ মেলে অস্ত্রের? পুলিশ সূত্রে খবর, এদিনের তল্লাশি অভিযানে একটি দেশি পিস্তল, একটি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল, ছয় রাউন্ড কার্তুজ ও একটি মোটর বাইক উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় মিঠুন শেখ ও জহির শেখ নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ধৃতেরা অস্ত্রগুলি বিক্রির উদ্দেশ্যে বোলপুরের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।