তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: বুধবার সাত সকালে সাত সকালে এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানা এলাকার পানুয়া-ডোমপাড়া গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতের নাম শেখ মনিরুল (৩৬)। বাড়ি জয়পুর থানার দৌলতচক গ্রামে। এই ঘটনায় কিছুটা হতবাকও এলাকাবাসী। কেন এই খুন তা এখনও সম্পূর্ণ জানা যায়নি। 


তবে স্থানীয়দের একাংশের দাবি, মঙ্গলবার রাতে কোতুলপুর থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার টুবাই চক্রবর্ত্তীর সঙ্গে জয়পুরের দৌলতচক গ্রামের শেখ মনিরুলের টাকা-পয়সা নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। আর এই ঘটনার জেরেই মদ খাইয়ে ঐ সিভিক ভলান্টিয়ার ছুরি দিয়ে শেখ মনিরুলকে খুন করেছে বলে অনুমান গ্রামবাসীদের। এই ঘটনার পরই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।


বুধবার সকালেই কোতুলপুর থানার পুলিশ পানুয়া-ডোমপাড়া থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে। স্থানীয়রা এই খুনের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও  অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।


এদিকে, হাজার হাজার ভুয়ো সিম কার্ডের ভিত্তিতে ই ওয়ালেট তৈরী করে দেশ জুড়ে প্রতারণা চালানোর অভিযোগে বাঁকুড়ায় গ্রেফতার করা হল ৬ জনকে। তাঁদের থেকে  উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৯ হাজার সিম ও ১০ হাজার ই-ওয়ালেট। সম্প্রতি বিশেষ সূত্রে বাঁকুড়ার পুলিশ জানতে পারে বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সাইবার প্রতারণার বড়সড় জাল। ঘটনার তদন্তে নেমে রীতিমত চক্ষু চড়কগাছ হয় তদন্তকারীদের।


পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, প্রতিটি সিমকার্ডের ভিত্তিতে তৈরি করা ই ওয়ালেট ও তার পাসওয়ার্ড  মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়া হত দেশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন প্রতারক গোষ্ঠীকে। এই প্রতারক গোষ্ঠীর সঙ্গে অভিষেক মন্ডল যোগাযোগ রাখত টেলিগ্রাম নামক একটি বিশেষ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন মাধ্যমে। ই ওয়ালেট বিক্রি করার টাকা অভিষেক বিনিয়োগ করেছিল ক্রিপ্টো কারেন্সিতে।