পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: ধুন্ধুমার বাঁকুড়া। পুলিশ ও বামকর্মীদের সংঘর্ষে তুমুল উত্তেজনা বাঁকুড়ার (bankura) জেলাশাসকের দফতর সংলগ্ন এলাকায়। ২৮ ও ২৯ মার্চ বনধের ডেকেছে বাম। তারই সমর্থনে মঙ্গলবার আইন অমান্য কর্মসূচি ছিল বামেদের। তা ঘিরেই এদিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। বামদের কৃষক ও শ্রমিক সংগঠনগুলি এদিন কর্মসূচি নিয়েছিল। জেলাশাসকের দফতর অভিযানে বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশের ব্যারিকেড (barricade) ভেঙে জোর করে জেলাশাসকের দফতরে ঢুকতে গেলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বাম কর্মী-সমর্থকদের দাবি, আন্দোলনকারীদের উপর বিনা প্ররোচনায় হামলা লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ-প্রশাসন (police)।
কী কী কারণে বনধ ডেকেছে বামেরা?
আয়কর দেন না এমন ব্যাক্তিদের মাসে সাড়ে সাত হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার দাবি, অরণ্যের পাট্টা প্রদান এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করার প্রতিবাদে বনধ ডাকা হয়েছে। ২৮ ও ২৯ মার্চ সারা ভারত বনধের ডাক দিয়েছে একাধিক ট্রেড ইউনিয়ন ও কৃষক সংগঠন।
কেন গন্ডগোল?
এই কর্মসূচির সমর্থনেই বেশ কিছুদিন ধরে রাজ্যজুড়ে একাধিক কর্মসূচি নিচ্ছে বাম শ্রমিক ও কৃষক সংগঠনগুলি। মঙ্গলবার বনধের সমর্থনে বাঁকুড়ার হিন্দু হাইস্কুল মাঠ থেকে মিছিল শুরু হয়। সেখান থেকে মিছিল করে বাঁকুড়া (bankura) জেলাশাসকের দফতরে যায় বাম কৃষক ও শ্রমিক সংগঠনগুলি। ওই এলাকায় আগে থেকেই ব্যারিকেড তৈরি করেছিল পুলিশ। আন্দোলনকারীরা জোর করে পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙে। তারপরেই শুরু হল গন্ডগোল। ব্যারিকেড ভেঙে জেলাশাসকের দফতরের দিকে এগোতেই কড়া পদক্ষেপ করে পুলিশ। বাম কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একটা সময়ের পর আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশ বেপরোয়া লাঠিচার্জ (lathicharge) শুরু করে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় একাধিক বামকর্মী দখম হয়েছেন বলে অভিযোগ জেলা নেতৃত্বের। গোটা ঘটনায় প্রবল ক্ষোভ জানিয়েছেন সিপিএম নেত্রী দেবলীনা হেমব্রম।
আরও পড়ুন: ড্রোনে কড়াকড়ি, অনুমতি ছাড়া শহরে ড্রোন ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি