পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া : বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজেও দুই শিশুর মৃত্যু হল। এক মাস ও ৫ মাস বয়সী দুই শিশুরই অ্যাডিনো ভাইরাসের উপসর্গ ছিল।  অ্যাডিনো ভাইরাসের উপসর্গ ছিল বলে জানিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজের সুপার।


একের পর এক শিশু মৃত্যু ইতিমধ্যেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে। অ্যাডিনো-আতঙ্কের মাঝেই কাল রাত থেকে আজ সকালের মধ্যে কলকাতার দুটি সরকারি হাসপাতালে ৪ শিশুর মৃত্যু হয়েছে আজ। এর মধ্যে বি সি রায় শিশু হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ২ শিশুর। উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার ৪ বছরের শিশুর জ্বর,  শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায়, প্রথমে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি বি সি রায় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পর ভেন্টিলেশনে রাখা হয় শিশুকে। সেখান থেকে বের করার পর, আজ ভোর ৪টে ৫৫ মিনিটে ওই শিশুর মৃত্যু হয়। নিউমোনিয়ার জেরে মৃত্যু বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গোবরডাঙার মৃত শিশুর বাবার দাবি , দিদিকে ভালবাসি, হাসপাতাল হয়েছে, কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে না। ব্যবহার অত্যন্ত খারাপ, 


অন্যদিকে, রবিবার বারাসাত হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেন বারাসাত পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নবপল্লির বাসিন্দা এক মহিলা। জন্মের পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে সদ্যোজাত। ওইদিনই ফুলবাগানের বি সি রায় হাসপাতালে এনে ভেন্টিলেশনে রাখা হয় নবজাতককে। আজ সকালে তার মৃত্যু হয়। 


কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। চুঁচুড়ার হামিদপুরের ৭ মাসের শিশুর জ্বর, শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায় ১৯ ফেব্রুয়ারি, চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয়। আজ ভোরে মৃত্যু হয় একরত্তির। ওই শিশুর জন্মগত হার্টের সমস্যা ছিল। শরীরে অ্য়াডিনো ভাইরাস মেলে। হাসপাতালের দাবি, অ্যাডিনোর জেরে নিউমোনিয়া সংক্রমণ মিটলেও, হার্টের সমস্যার কারণেই ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।


কলকাতা মেডিক্যালে মৃত দ্বিতীয় শিশুর বয়স ২২ দিন। হাওড়ার বাগনানের বাসিন্দা। জ্বর-শ্বাসকষ্ট থাকায়, ১৬ ফেব্রুয়ারি উলুবেড়িয়া হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয়। অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণ মেলে। গতকাল রাতে ওই শিশুর মৃত্যু হয়। 


বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও সোমবার ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এদের একজনের বয়স একমাস, আরেকজন ৪ মাসের। 
হাসপাতালের দাবি, দুই শিশুর মৃত্যুর কারণ অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস। বর্ধমান মেডিক্যালের তরফে জানানো হয়েছে, শিশু বিভাগে ১২০টির ওপর বেড রয়েছে। বর্তমানে ভর্তি রয়েছে ৯৯ জন শিশু। সূত্রের খবর, এদের অনেকেরই জ্বর, শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিদিন গড়ে ১৯-২০ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে। পরিস্থিতি বিচার করে আরও ৩০-৪০টি বেডের ব্যবস্থা করা হবে।