বাঁকুড়া: সমীক্ষার পর আবাস যোজনার তালিকা (PMAY List) থেকে বাদ পড়েছে প্রায় অর্ধেকের নাম , প্রতিবাদে গ্রাম সংসদের সভায় সাড়ে চার ঘন্টা ধরে আটকে রাখা হল বিডিও-কে (BDO)। আবাস যোজনায় আসা নামের তালিকা থেকে সমীক্ষায় বাদ পড়েছে প্রায় অর্ধেক উপভোক্তার নাম । সমীক্ষায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো হয়েছে এবং তার জেরেই বাদ পড়েছে সঠিক উপভোক্তাদের নাম এই অভিযোগ তুলে আজ বিডিও কে গ্রামে সাড়ে চার ঘন্টা ধরে আটকে রাখলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) বড়জোড়া ব্লকের বৃন্দাবনপুর গ্রামের বড়কুড়া গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি প্রকাশিত আবাস যোজনার তালিকায় বড়জোড়া ব্লকের বৃন্দাবনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বারোশোটিরও বেশি পরিবারের নাম ছিল । প্রাথমিক সমীক্ষার পর সেই তালিকায় বাদ দেওয়া হয়েছে ৬০০ জনেরও বেশি উপভোক্তার নাম । স্থানীয়দের দাবি, সমীক্ষার পর দেখা যাচ্ছে অনেক উপভোক্তার নিজস্ব পাকা বাড়ি থাকলেও তাঁর নাম রয়ে গেছে তালিকায় । অথচ যাদের নাম বাদ পড়েছে তাঁদের একটা বড় অংশের পাকা বাড়ি তো দূরের কথা, ভাঙ্গা মাটির বাড়িতেই তাঁদের দিন যাপন করতে হয় । আজ বৃন্দাবনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়কুড়া গ্রামে গ্রাম সংসদের সভা করতে যান বড়জোড়ার বিডিও । সেই সময় স্থানীয় বাসিন্দারা আবাস যোজনার তালিকায় ও সমীক্ষায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগ তুলে বিডিওকে গ্রামে ঘেরাও করে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। গ্রামবাসীদের ঘেরাওয়ের জেরে প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা ধরে গ্রামেই আটকে থাকেন বিডিও । পরে বেলিয়াতোড় থানার পুলিশ গ্রামে গিয়ে বিডিওকে ঘেরাও মুক্ত করে । স্থানীয়দের দাবি, আবাস যোজনার সম্প্রতি হয়ে যাওয়া সমীক্ষা বাতিল করে নতুন করে সমীক্ষা করে উপভোক্তা নির্বাচন করা হোক। বিডিওর বক্তব্য যে তালিকা এসেছে, তা প্রাথমিক তালিকা । আবাস যোজনার তালিকা নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে সেক্ষেত্রে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে জেলা শাসকের দফতরে অভিযোগ জমা করতে পারেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।
আরও পড়ুন, 'পুরনো প্রেম', শাহ-মমতা বৈঠক ইস্যুতে মন্তব্য বিকাশের
অপরদিকে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে কত দূর ছড়িয়ে দুর্নীতি আর স্বজনপোষণের শিকড়? ফের প্রশ্ন তুলে দিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর এলাকা। তৃণমূল পরিচালিত প্রতাপনগর গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধানের শাশুড়ি ও দেওরের নাম রয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়। তালিকা তুলে ধরে অভিযোগ স্থানীয়দের একাংশের। বিতর্কের মুখে তৃণমূলনেত্রী ও পঞ্চায়েত প্রধান মামুদা বিবির সাফাই, শাশুড়ি ও দেওর যথেষ্ট গরিব। তাঁরা আলাদা মাটির বাড়িতে থাকেন। তৃণমূল পরিচালিত সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির আওতাধীন প্রতাপনগর গ্রামপঞ্চায়েত। সম্প্রতি এই সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ এবং প্রতাপনগরের অঞ্চল সভাপতির পরিবারের দুই সদস্যের নাম প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দেখা যায়। তা নিয়ে তুঙ্গে ওঠে বির্তক। এবার তাতে নতুন মাত্রা যোগ হল উপপ্রধানের ঘটনায়।