কলকাতা: শাহ-মমতা সাক্ষাৎ ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দিলেন আইনজীবী তথা সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ  বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya)। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে শাহি বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক তরজা ইতিমধ্যেই তুঙ্গে। গতকালই তিনি রাজ্য বিজেপির দফতরে সাক্ষাৎ সেরেছেন। সপ্তাহান্তে আজ সকাল থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের উপর নজর সব রাজনৈতিক দলেরই। আর এদিন শাহ-মমতা বৈঠক হতেই বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, 'সরকারি বৈঠক গোপনে হয় না।' 


পুরনো প্রেম , মাঝখানে ভাটা পড়ে গিয়েছিল : বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য


সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, পুরনো প্রেম , মাঝখানে ভাটা পড়ে গিয়েছিল। সেটাকে আবার চাগিয়ে তুলছেন, এখন যখন বুঝতে পেরে গিয়েছেন যে পুরনো প্রেমের জেরে সারদা-নারদার মতো তদন্তকে ঠেকিয়ে রাখা যাচ্ছে না, সেই জন্য অমিত শাহকে নিয়ে গোপন বৈঠক করলেন। কারণ প্রশাসনিক বৈঠক কখনও গোপনে হয় না। কুণালবাবু এসব জানেন।' মূলত এদিন কুণাল ঘোষ এই বৈঠককে প্রশাসনিক বৈঠক নাম দিতেই বলেন বিকাশরঞ্জন। উল্লেখ্য, পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের শেষে এদিন একান্তেনবান্নে অমিত শাহর (Amit Shah) সঙ্গে একান্ত বৈঠক হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। নবান্নের ১৪ তলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী(CM)। মধ্যাহ্নভোজের পরেই ১৪ তলায় মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে পৌঁছে যান অমিত শাহ। বৈঠকে যোগ দিতে মূল গেটে না গিয়ে নবান্নর (Nabanna) ভিভিআইপি গেটে ঢোকে শাহর কনভয়। অমিত শাহকে স্বাগত জানান মমতা, একসঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছন নবান্ন সভাঘরে। তারপর ২০ মিনিট কথা হয় দুজনের। 


আরও পড়ুন, লালন শেখের মৃত্যুর তদন্তে দ্বিতীয়বার বগটুই গ্রামে CID


পর্যবেক্ষকদের ধারণা আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে থাকতে পারে বাংলায় এজেন্সি অতি সক্রিয়তা। ইদানীং বাংলায় অতি সক্রিয় ইডি সিবিআই। হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডলপার্থ চট্টোপাধ্যায়। ক্রমাগত এজেন্সির তৎপরতা নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণও করে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কেন্দ্রর বিরুদ্ধে রাজ্যের অভিযোগ বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্র রাজ্যকে টাকা দিচ্ছে না। অর্থনৈতিক ভাবে বাংলাকে পর্যুদস্ত করছে কেন্দ্র। এই নিয়ে কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত চলছেই। বিভিন্ন সময়ে তৃণমূল নেতাদের আক্রমণের নিশানায় থেকেছেন শাহ। এই পরিস্থিতিতে দুজনের সাক্ষাৎ রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এক দেশ এক পুলিশ নীতি নিয়েও কথা বয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।  অন্যদিকে কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েনের আবহে নবান্নে পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠক সম্পন্ন হল নবান্নে। অমিত শাহ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজনৈতিক ময়দানে একে অপরকে যতই কটাক্ষ করুন না কেন। শনিবাসরীয় সভা শুরু হল হাসি বিনিময়ের মাধ্যমেই। সকাল ১১ থেকে শুরু হয় বৈঠক। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যায়, কিন্তু বৈঠক শেষ হতেই চায় না। সুদীর্ঘ কথোপকথনের পর দুপুর দেড়টা নাগাদ শেষ হয় আলোচনা।