পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: খোলা তারে জোড়া মৃত্যুর জেরে লালবাজার ইলেকট্রিক কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারের ( Bankura Lalbazar Electric Customer Service) এসএম-কে (Station Manager) সরিয়ে দেওয়া হল। গত শনিবার বাঁকুড়ার ভুতশহরে বিদ্যুতবাহী তার ছিঁড়ে তড়িতাহত হয়ে মৃত্যু হয় ২জন গ্রামবাসীর। এই ঘটনায় বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠে। শুরু হয় বিদ্যুৎ দফতরের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত। রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের (WB State Electricity) নির্দেশে এই ঘটনায় বাঁকুড়ার লালবাজারের এসএম (স্টেশন ম্যানেজার) সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর এই নির্দেশিকা জারি করে। সুত্রের খবর, অনির্দিষ্টকালের জন্য লালবাজারের এসএম-কে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন, কুণাল-রূপার সাক্ষাত ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে
শনিবার বাঁকুড়ার ভুতশহরে বিদ্যুতবাহী তার ছিঁড়ে তড়িতাহত হয়ে মৃত্যু হয় ২জন গ্রামবাসীর। এই ঘটনায় বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠে। শুরু হয় বিদ্যুৎ দফতরের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত। রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের নির্দেশে এই ঘটনায় বাঁকুড়ার লালবাজারের স্টেশন ম্যানেজার সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার অনির্দিষ্টকালের জন্য লালবাজারের এসএম-কে ছুটিতে পাঠায় রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর। গত কয়েক দিনে শুধুই বাঁকুড়া নয়, রাজ্যের কলকাতা সহ একাধিক জায়গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি শহরে পরপর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু নিয়ে এবার মুখ খোলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় । শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, একে অপরের উপর দায় চাপিয়ে, বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই একের পর এক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনার ঘটে চলেছে। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, দুর্ঘটনা কমাতে মাটির নীচ দিয়ে বিদ্যুত্ সরবরাহের ব্যবস্থা করুক সিইএসসি। বিদ্যুত্ চুরি ঠেকিয়ে নিজেদের বাড়তি আয়ের কিছুটা ব্যয় করতে হবে বলে পরামর্শ দেন। তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছর ধরে প্লাস্টিকে মোড়া যে সংযোগ বসানো হয়েছে, তার মধ্যে অ্যালুমিনিয়াম এবং তামার তার রয়েছে। বৃষ্টিতে সেগুলি নষ্ট হচ্ছে। এবং জমা জলের সংস্পর্শে এসে দুর্ঘটনা ঘটছে।
সম্প্রতি ট্যাংরার গোবিন্দ খটিক রোডে মৃত্যু হয় এক দোকান মালিকের। মৃতের নাম বান্টি হালদার। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, সকাল ৯টা নাগাদ রাস্তার ফিডার বক্স থেকে আগুনের ফুলকি বেরোতে শুরু করে।সেখান থেকে বান্টির কচুরির দোকানে আগুন লেগে যায়। প্রাণ বাঁচাতে দোকান থেকে বেরিয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু প্রাণরক্ষা হল না। বাতিস্তম্ভে হাত লেগে যায় তাঁর। আর সেখানেই ছিল মরণফাঁদ। ওই স্তম্ভে হাত লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় বছর পঁয়ত্রিশের বান্টির, এমনটাই দাবি তাঁর স্ত্রীর। যদিও এই অভিযোগ খারিজ করে পুলিশ। এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তারপরই উত্তাল হয় ওই এলাকা। যদিও নারকেলডাঙা, সল্টলেক একের পর এক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় এবার আরও কড়া হল রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর।