প্রসূন চক্রবর্তী,বাঁকুড়া: তাণ্ডব ঠেকাতে বাঁকুড়ায় (Bankura) পরিযায়ী হাতিদের খাবার দিচ্ছে বন দফতর (Forest Department)। রাঙামাটির জেলা বাঁকুড়ার মানুষের সারা বছরই কাটে হাতির আতঙ্কে। কখনো খাবারের খোঁজে জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে হাতির দল কখনও আবার দাঁতালের তাণ্ডবে ক্ষতি হয় ঘর-বাড়ি,ফসলের। আর এ বার হাতির তাণ্ডব ঠেকাতে জঙ্গলে পরিযায়ী হাতিদের খাবারের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হল বন দফতর।


বাঁকুড়ার উত্তর বনবিভাগের বড়জোড়া রেঞ্জের শীলতা বিটের বাঁদকানা জঙ্গলে উপযুক্ত পরিবেশে  বৈদ্যুতিক তার দিয়ে করিডর করে ১০ টি হাতিকে দেওয়া হচ্ছে তাদের পছন্দের খাবার । মেনুতে রয়েছে- লাউ, কুমড়ো, শসা, কলা গাছ -সহ একাধিক পছন্দের খাবার। যা দেখে মনে হয় এ যেন কোন অতিথি আপ্যায়ন।  এছাড়াও এই সময় হাতিদের শরীরে লবণ কমে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এ জন্য খাবারের পাশাপাশি বস্তায় করে বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছে লবণও। এবং সেগুলিও খেয়ে নিচ্ছে হাতি। স্বাভাবিকভাবে পছন্দের খাবার পেয়ে খুশি গজরাজরাও। আর এই দৃশ্য দেখার জন্য দিনে দুবার করে ভিড় জমাচ্ছেন জঙ্গল পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষজন । পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবারের যোগান পেয়ে  কমেছে জঙ্গল লাগুয়ার গ্রামগুলিতে হাতির তাণ্ডব। 


বনদপ্তর সূত্রে খবর , বাঁধকানা জঙ্গলের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিতে ঢুকে পড়ে হাতির দল। নষ্ট করে একের পর এক সবজির ক্ষেত,  একাধিক ঘরবাড়ি। তাই হাতির তাণ্ডব ঠেকাতে  জঙ্গলের মাঝে তাঁদের বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে বৈদ্যুতিক তারের বেড়া দিয়ে হাতি গুলিকে আটকে রাখা হয়েছে । যাতে করে তারা লোকালয়ে ঢুকে না পড়ে। এবং তাদের দেয়া হচ্ছে উপযুক্ত খাবার।  এবং এর ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই কমেছে বলে মনে করছেন তারা।


আরও পড়ুন, দীপাবলির আগেই দুর্যোগের আশঙ্কা, শনিবার বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা 


 চলতি বছরের জুলাই মাসে, হাতির তাণ্ডব রুখতে বড় পদক্ষেপ নেয়ে স্কুল পড়ুয়ারা । লোকালয়ে হাতির প্রবেশ আটকাতে কয়েক কুইন্ট্যাল ফলের বীজ নিয়ে জঙ্গলে হাজির ছাত্রছাত্রীরা (Students)। উল্লেখ্য, জঙ্গলে হাতির সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে, কমে গিয়েছে তুলনামূলক ভাবে তাদের খাদ্যের সংস্থান ৷ ফলে খাবার না পেয়ে প্রায়শই লোকালয়ে প্রবেশ করে হাতির পাল গৃহস্থের ফলের গাছ, বাড়ির ভেতরে থাকা খাদ্য শস্যের জন্য হানা দিচ্ছে ৷ এই খাদ্যের তল্লাশিতে প্রাণ যাচ্ছে গ্রামবাসীদের ৷ এই চিত্র মেদিনীপুর সদরেও প্রায়শই দেখা যাচ্ছে ৷ সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে মাঠে নামে জঙ্গলমহল এলাকার একটি বিদ্যালয় ৷