কলকাতা: নিয়োগের দাবিতে সল্টলেকের করুণাময়ীতে  অবস্থান-আন্দোলন ২০১৪-র প্রাথমিক টেট ( TET 2014 ) উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের।  প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সামনে লাগাতার আন্দোলন অসুস্থ হয়ে পড়লেন বেশ কয়েকজন। এহেন পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এবং বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Kunal Ghosh and Sujan Chakraborty)। 


সুজন চক্রবর্তী বলেন, কেউ তো আর শখ করে, ২২ -২৪ ঘন্টা ধরে রাস্তায় বসে থাকে না ! বসে থাকে তখন, যখন বোঝে, তাঁদের হকের চাকরিটাকে কার্যত, আরেকবার প্রতারিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তখন তাঁরা রাস্তায় বসে। আর এটা কোর্টের বিষয় নয়। কোর্ট বলেছে, স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ, যেগুলি বেআইনি হয়েছে, সেগুলিকে খারিজ করো। সমাধান একটাই, ১ লক্ষের উপরে শূন্য পদ, প্রাথমিক শিক্ষায়। কে বলেছেন, শিক্ষামন্ত্রী মার্চ মাসে, বিধানসভায় জানিয়েছেন। তবে সেই চাকরির বন্দোবস্ত কীভাবে হবে, সেটা না করে সরকার কী করে, সরকার কী করল, চট করে বলে দিল ১১ হাজার ! সরকার কী চায় সমাধান করতে প্রশ্ন তুলেছেন এই বর্ষীয়ান বামনেতা।


হকের চাকরি পাওয়ার অধিকার সবার রয়েছে, সরকার শুধু ডেকে নিয়ে গিয়ে কথা বলার নাটক করছে। এই সরকার কতদিন টিকবে সেটাই আশঙ্কার। এপ্রসঙ্গে এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, দিলীপবাবু দায়িত্বজ্ঞানহীন সস্তা রাজনৈতিক মন্তব্য করছেন। বিভিন্ন স্তরের বিভিন্ন ভাগ রয়েছে। অধিকাংশ জায়গায় সমস্যা নেই, যেগুলি ছিল, সেগুলি ছিল, সেগুলি সব কেটে যাচ্ছে। এখন যারা দাবি করছে, কিধু দাবি আইনগতভাবে পুরো দস্তুর ঠিকঠাক দাবি।  আবার কিছু দাবি আসছে, সেগুলি ঠিক কি, ঠিক নয়, সেটা আইনের চোখে এখনও ফয়সালা হয়নি।


আরও পড়ুন, টাকা গাড়িতে তুলে কেন পালিয়ে গেল শৈলেশ ? পুলিশি হানা-র খবর কে দিল তাকে ?


প্রসঙ্গত, সোমবার বেলা ১২টা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সামনে চলছে অবিরাম আন্দোলন। উল্টোদিকেই এক বেসরকারি হাসপাতাল। রাতে আন্দোলনকারীদের পুলিশ জানায়, অবস্থানস্থলে ১৪৪ ধারা ( 144 Section ) জারি রয়েছে। হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স যেতে-আসতে সমস্যা হচ্ছে। আইন হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে মাইকেও আবেদন জানায় পুলিশ। যদিও এরপরও অবস্থান-বিক্ষোভে অনড় প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। একদল ফুটপাথে শুয়ে কাঁদছেন, একদল ঠাঁটা পোড়া রোদ্দুরে বসে রয়েছেন রাস্তায়। একদল, দৌড়চ্ছেন পর্ষদের দিকে। একদল, আন্দোলনস্থলেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন। তবুও অবস্থান থেকে এতটুকুও পিছু হঠতে নারাজ ।  দাবি একটাই, আর কোনও পরীক্ষা নয়। অবিলম্বে দিতে হবে নিয়োগপত্র।