তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া : শিক্ষক মাত্র ২ জন। পড়ুয়া তিনশোর বেশি। অভিভাবক ও পড়ুয়াদের বক্তব্য, ক্লাসই হয় না বেশিরভাগ দিন। শিক্ষকের অভাবে কার্যত ধুঁকছে বাঁকুড়ার (Bankura) ইন্দাসের সকুল। ক্লাস করাচ্ছেন গ্রুপ ডি কর্মী। দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছেন সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক ।


সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Volunteer) প্রাথমিক স্কুলে পড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘিরে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল বাঁকুড়া প্রশাসনকে। চাপের মুখে পড়ে তড়িঘড়ি ওই প্রস্তাব ঠান্ডা ঘরে পাঠিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister) ব্রাত্য বসু।  এবার সেই বাঁকুড়ার স্কুলেই শিক্ষকের ভূমিকায় দেখা গেল গ্রুপ ডি অশিক্ষক কর্মী ! ইন্দাসের শান্তাশ্রম গার্লস জুনিয়র হাইস্কুলে যে চাঞ্চল্যকর ছবি ধরা পড়ল।


স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। ছাত্রীর সংখ্যা ৩২০। আর সেখানে স্থায়ী শিক্ষক (Permenent Teacher) রয়েছেন মাত্র ১ জন। আর একজন অতিথি শিক্ষক আছেন। দু'জন শিক্ষকের পক্ষে চারটি শ্রেণির এতজন পড়ুয়াকে সবকটি বিষয় পড়ানো এককথায় অসম্ভব। অভিভাবকরা বলছেন, দিনে সাকুল্যে দু-তিনটে ক্লাস হয়। বাকি সময়টা বসেই কাটাতে হয়। ফলে সিলেবাস (Syllabus) শেষ হয় না। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে স্কুলের গ্রুপ ডি কর্মীকে দিয়ে ক্লাস করানো হচ্ছে। 


শান্তাশ্রম গার্লস জুনিয়র হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা শতাব্দী রায় বলেছেন, 'সব ক্লাস নিতে পারিনা। গার্জেনরা চাপ দেয় টিসি নিয়ে চলে যাবে। কিন্তু আমি চাই স্কুলটা চলুক।' কিন্তু একজন গ্রুপ ডি অশিক্ষক কর্মী কি শিক্ষকের কাজ করতে পারেন ? প্রশ্ন উঠেছে। বিষ্ণুপুর মহকুমার সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক বিজয় মণ্ডল বলেছেন, 'যদি পড়িয়ে থাকেন তাহলে সেটা ঠিক নয়। দেখব বিষয়টা। ওই স্কুলে নোটিফিকেশন দেওয়া আছে। রিক্রুটমেন্ট হলেই টিচার পাবে।"


ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়লেই গ্রুপ ডি কর্মী হওয়া যায়। অথচ শিক্ষকের অভাবে তাদের হাতেই পড়ানোর ভার দেওয়া হচ্ছে ! সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা।


                                                    


আরও পড়ুন- ফের কবে থেকে বঙ্গজুড়ে প্রবল বৃষ্টি ? জানিয়ে দিল আবহাওয়া দফতর


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial