তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: টিউশন ফেরত আদিবাসী ছাত্রীর শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ। এবার এই অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ার (Bankura News) কোতুলপুরে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কী অভিযোগ?
কলকাতা থেকে জেলা। আর জি কর-কাণ্ডে তোলপাড়ের মধ্য়েও লাগামহীন নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে রাজ্য়ের নান প্রান্তে। নির্যাতন থেকে বাদ যাচ্ছে না ছোট্ট শিশুকন্য়া থেকে স্কুল ছাত্রী। পরিবারের দাবি, গতকাল সন্ধেয় বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পড়তে গিয়েছিল নবম শ্রেণির ছাত্রী। টিউশন শেষে বান্ধবীর সঙ্গে সাইকেলে চড়ে বাড়ি ফিরছিল সে। সেই সময়ই এক যুবক তাদের ধাওয়া করে। অভিযোগ, এরপর অন্ধকারের মধ্যে আদিবাসী ছাত্রীর শ্লীলতাহানির পর ধর্ষণের চেষ্টাও করে ওই যুবক। বান্ধবীরাই ছাত্রীকে উদ্ধার করে টিউশন শিক্ষকের কাছে ফিরে যায়। তিনি ফোন করে ছাত্রীর বাড়িতে খবর দেন। অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তালাবন্ধ। এরপর নির্যাতিতার পরিবারকে নিয়ে গ্রামবাসীরা হাজির হন কোতুলপুর থানায়। পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে।
এর আগে এক গৃহবধূর শ্লীলতাহানি এবং তাঁকে ও তাঁর স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠল। নির্যাতিতা ও তাঁর স্বামীকে খুন এবং নির্যাতিতাকে গণধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। ৩ নভেম্বরের ঘটনা সামনে এসেছে গতকাল মঙ্গলবার। কালী পুজোর বিসর্জন চলাকালীন কাকাশ্বশুরকে রঙ মাখানোর প্রতিবাদ করায় চারজন মত্ত অবস্থায় ইন্দাসের বাসিন্দা মহিলার শ্লীলতাহানি ও তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁর স্বামীকে মারধর করা হয়।
নির্যাতিতা অভিযোগ করেন, "আমি কাকাশ্বশুরকে আনতে গেছিলাম যেখানে পুজো হচ্ছিল। সেদিন বিসর্জনের দিন ছিল। মত্ত অবস্থায় নাচানাচি করছিল। যখন আসছি কাকাশ্বশুরকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে নাচানাচি করছিল রঙ মাখিয়ে। কাকাশ্বশুর একটু অসুস্থ বোধ করছিল। কাকাশ্বশুরকে আমি যখন টেনে নিয়ে আসতে যাই তখন আমার গায়ে হাত তোলে। আমি পড়ে যাই। আমার পিছনে পিছনে ধাওয়া করে। আমার ওপর হামলা করে। গোটা গায়ে হাত দিয়ে যাচ্ছে তাই করে।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Kolkata News: পথচলতি তরুণীকে কটূক্তি, ফের শ্লীলতাহানি লেকটাউনে, আক্রান্ত বন্ধুও