পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: বার বার নিষেধ করা সত্ত্বেও বিপদের তোয়াক্কা করেননি। হাতি দেখতে (Elephant Attack) গিয়ে বাঁকুড়ায় (Bankura News) জখম হলেন এক ব্যক্তি। শুঁড়ে পেঁচিয়ে তুলে তাঁকে আছাড় মেরেছে এক হাতি। তাতে গুরুতর জখম হয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার সকালে বাঁকুড়ায় নতুন করে হাতিল দলকে (Elephants Enter Bankura) ঘিরে আতঙ্ক দেখা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে পুরুলিয়া চলে গেলেও, এ দিন সকালে ফের বাঁকুড়ায় প্রবেশ করে হাতির দল। সেই সময় বাঁকুড়া শহর লাগোয়া সিয়ারবেদিয়া এলাকায় হাতি দেখতে ভিড় উপচে পড়ে। সেখানেই বিপত্তি ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতি দেখতে লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়লে, প্রশাসনের তরফে সতর্ক করা হয় সকলকে। তা সত্ত্বেও নিষেধ মানছিলেন না কিছু অতি উৎসাহী মানুষ। বরং হাতিল নাগালের মধ্যে পৌঁছে যান এক ব্যক্তি। তাতেই শুঁড়ে পেঁচিয়ে তুলে ধরে পর ক্ষণেই তাঁকে মাটিতে আছাড় মারে এক হাতে। আহত ওই ব্যক্তিকে ছাতনা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Indian Railway: বাড়ছে অভিযোগের সংখ্যা, এবার যাত্রীদের জন্য শিষ্টাচার নির্দেশিকা রেলের
সপ্তাহ খানেক আগে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে বাঁকুড়ার সারেঙ্গায় এসে পৌঁছয় চারটি শাবক-সহ ১১টি হাতির একটি দল। পরে সিমলাপাল, ইন্দ্রপুর হয়ে হাতির দলটি বুধবার এসে পৌঁছায় বাঁকুড়া শহর লাগোয়া এলাকায়। বৃহস্পতিবার দিনভর বাঁকুড়ার ছাতনার বাবুপাড়া এলাকার একটি ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে ছিল হাতির দল। সেখানে হাতির হানায় এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়। আহত হন আরও দু’জন।
এর পর সন্ধেয় হাতির দলটিকে অন্যত্র সরানোর চেষ্টায় উদ্যোগী হয় বন দফতর। তাতে পুরুলিয়ার দিকে এগোতে শুরু করে হাতির দল। সেই মতোই তাদের তাড়িয়ে নিয়ে যেতে থাকেন বন দফতরের আধিকারিকরা। ফলে রাতে দ্বারকেশ্বর নদ পেরিয়ে পুরুলিয়ায় প্রবেশ করে হাতির দল। কিন্তু রাত ফুরনোর আগেই তারা ফের বাঁকুড়ায় ফিরতে শুরু করে। যে কারণে সকাল হতেই ফের সেখানে দেখা মেলে তাদের।
এর আগে, গত সপ্তাহেও সারেঙ্গায় ঢুকে পড়ে ১০টি হাতির একটি দল। দলছুট হয়ে তেলিজাত গ্রামে ঢুকে পড়ে তাণ্ডব চালায় তারা। রাত ২টো নাগাদ একটি মাটির বাড়িতে হানা দেয় তারা। তাতে তছনছ হয়ে যায় বাড়িটি। বাকিরা অক্ষত অবস্থায় পালিয়ে বাঁচলেও, দেওয়াল ভেঙে গায়ের উপর পড়ে জখম হন বাড়ির কর্তা। এ বার ফের হাতির দল ঢুকে পড়ল বাঁকুড়ায়।