প্রসূন চক্রবর্তী, বাঁকুড়া: রাতের অন্ধকারে দুঃসাহসিক চুরি বাঁকুড়ার পরপর ৫ টি মন্দিরে। শুনলে প্রথমটায় মনে হবে, এ যেনও, ও হেনরির লেখা গল্পের অনুপ্রাণিত বলিউড ফিল্ম 'লুটেরা'-র প্লট। কিন্তু সেই গল্পে তো, শেষ অবধি 'লুটেরা' নিজেই 'বাল্মিকী' হয়েছিল, ধরা দিয়েছিল পুলিশের কাছে। যদিও বাঁকুড়ায় এমন কিছু ঘটেনি, গুণধর চোর 'বাল্মীকি' হওয়ার আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছে। তবে বছর শেষে এই ঘটনায় বেশ থমথমে গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের ধবনী গ্রাম। স্বাভাবিকভাবেই এই দুঃসাহসিক চুরি ঘটনায় মানুষের ধর্মীয় আবেগে আঘাত লেগেছে।


রাতের অন্ধকারে পরপর পাঁচটি মন্দিরে দুঃসাহসিক চুরি ঘটনা ঘটছে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের ধবনী গ্রামে। গ্রামবাসীদের সূত্রে খবর একই জায়গায় সরস্বতী, কালী,মনসা,দুর্গা ও হরি মন্দির অবস্থিত। পাঁচটি মন্দিরেরই কোনওটির তালা ভেঙে বা কোনওটি খোলা পেয়ে দুঃসাহসিক ভাবে চুরি  করা হয়েছে। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, মন্দিরের বিভিন্ন সোনার গহনা,বাসনপত্র চুরি গেছে এবং মন্দিরের মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়েছে। গ্রামবাসীদের অনুমান প্রায় লক্ষাধিক টাকার জিনিসপত্র খোয়া গিয়েছে।


সাতসকালে খবর জানাজানি হতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরো এলাকাজুড়ে। দিনের আলো ফুটতেই গ্রামবাসীরা তাঁদের গ্রামে সন্দেহভাজন একজন ব্যক্তিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে। সন্দেহ বেশীকরে দানা বাঁধায় গ্রামবাসীরা পাকড়াও করে ওই ব্যক্তিকে।  পরবর্তীতে গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ে, সে চুরির ঘটনা নিজের মুখে স্বীকার করে নেয়। এবং এও জানায় তার সঙ্গে আরও দুজন ছিল। তড়িঘড়ি স্থানীয় গঙ্গাজলঘাটি থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পাকড়াও করে রাখা ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় এবং বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি শুরু করেছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে  দেখতে তদন্তে নেমেছে গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ।


আরও পড়ুন, তৃণমূল নেতার বাড়িতে গুলিকাণ্ডে গ্রেফতার দলীয় ৭ নেতা-সহ কর্মী


বাঁকুড়ায় এর আগেও ভয়াবহ চুরির ঘটনা ঘটেছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে বাঁকুড়ায় বন্ধ ঘরের তালা ভেঙে সর্বস্ব লুঠ করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। গলির ভিতরে  সি সি ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই দুই সন্দেহভাজনের ছবি। বাঁকুড়া শহরে বন্ধ ঘরের তালা ভেঙ্গে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। বাড়ির তালা ভেঙে সর্বস্ব লুঠ করে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। রাতের বেলায় ঘটনাটি ঘটে বাঁকুড়া শহরের ৭ নং ওয়ার্ডের সারদাপল্লী মাঠপাড়া এলাকায়। পেশায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী শম্ভূনাথ দে র বাড়িতে এই দুঃসাহসিক চুরির ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে তদন্তে নামে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ।