পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: রাতভর চেষ্টাতেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। এখনও জ্বলছে বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা। পুড়ে খাক বনাঞ্চল। এখনও আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বনকর্মী ও দমকলকর্মীরা। গতকাল সকালে শুশুনিয়া পাহাড়ের পূর্ব অংশে আগুন নজরে আসে। দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে পাহাড়ের ওপরের দিকে। হাওয়ার কারণে সেই আগুন ভয়াবহ চেহারা নেয়। ব্লোয়ারের সাহায্যে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ের পূর্ব অংশে আগুন প্রথম নজরে আসে। দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়তে থাকে পাহাড়ের উপরের দিকে। খবর পাওয়ার পর থেকেই ব্লোয়ার নিয়ে পাহাড়ের বনাঞ্চলের আগুন নিয়ন্ত্রণে ঝাঁপিয়ে পড়ে বন কর্মীরা। ব্লোয়ার দিয়ে ঝরা পাতার স্তুপ বিচ্ছিন্ন করে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু সন্ধের পর থেকে পাহাড়ের উপরের অংশে দ্রুত হাওয়ার কারণে সেই আগুন ভয়াবহ আকার নেয়। পাহাড়ের উপর ঝরা পাতার পাশাপাশি দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে ছোট বড় গাছও।
গতকাল রাতে আবার নতুন করে ৪০ জন বনকর্মীকে ব্লোয়ার নিয়ে আগুন নেভানোর কাজে নামানো হয়। পাহাড়ের আগুন নেভানোর উদ্যেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয় দমকলের একটি ইঞ্জিনও। কিন্তু একদিকে পাহাড়ের একাংশের দুর্গমতা আর অন্যদিকে আগুনের ভয়াবহতার কারণে কিছুতেই তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। আগুনে পাহাড়ের উপর থাকা বহু গাছ পুড়ে খাক হয়ে গেলেও বন্যপ্রাণের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেই দাবি বন দফতরের।
২০২৪ সালে বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ে শেষবার আগুন লেগেছিল। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল পাহাড়ের বিস্তীর্ণ অংশে। সেবার আগুন এতটাই ভয়াবহ আকার নিয়েছিল যে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘাম ছুটেছিল বন দফতরের। লাগাতারভাবে তিন চার দিন চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাতে সমর্থ হয়েছিল বন দফতর। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বন দফতর লাগাতার নজরদারি চালানোয় এবং একাধিক ব্যবস্থা নেওয়ায় গত বছর শুশুনিয়া পাহাড়ে ঠেকানো গিয়েছিল কাণ্ডের ঘটনা। তবে দু বছর যেতে না যেতেই ফের আগুন লাগলো শুশুনিয়া পাহাড়ে।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri Child Death: ভ্যাকসিন নেওয়ার পরই 'অসুস্থ'! জলপাইগুড়িতে শিশুর মৃত্যুতে চাঞ্চল্য