পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: আবাস যোজনার (Awas Yojna) অবস্থা খতিয়ে দেখতে গিয়ে ফের বিক্ষোভের মুখে কেন্দ্রীয় আধিকারিক দল। গতকাল বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের নবজীবনপুর গ্রামের পর আজ বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের চাঁদপুর গ্রামে স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়েন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা।
ফের বিক্ষোভের মুখে: বাঁকুড়া জেলায় আবাস যোজনা সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গতকাল জেলায় আসে সেন্ট্রাল মনিটরিং সেলের দুই আধিকারিক। গতকাল বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে তাঁরা আবাস সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর আজ সিমলাপাল ব্লকের চাঁদপুর গ্রামে আবাস যোজনা সংক্রান্ত একটি অভিযোগ খতিয়ে দেখতে যান আধিকারিকেরা।
স্থানীয় সিমলাপাল ব্লকের বিডিও ও গ্রাম পঞ্চায়েতের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে তাঁরা চাঁদপুর গ্রামে গিয়ে অভিযোগকারী উপভোক্তার সঙ্গে কথা বলেন। পরে সেখান থেকে সিমলাপালের দিকে ফিরে আসার পথে চাঁদপুর গ্রামের মানুষদের একাংশ তাঁদের পথ আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিক্ষোভকারীদের দাবী গ্রামের বহু মানুষের কাঁচা বাড়ি। এর মধ্যে বেশ কিছু বাড়ির অবস্থা বেশ বেহাল। তা সত্বেও তাঁদের নাম রাখা হয়নি আবাস যোজনার তালিকায়। অনেকের নাম প্রথম অবস্থায় তালিকায় থাকলেও পরে তাঁদের নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের বঞ্চিতদের বাড়িগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখার দাবি জানাতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে বেশ কিছুক্ষণ চাঁদপুর গ্রামে আটকে থাকেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। পরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিলে বিক্ষোভমুক্ত হন আধিকারিকরা।
গতকাল প্রায় ২০ মিনিট ধরে আধিকারিক দলটিকে রাস্তায় আটকে রেখে চলে বিক্ষোভ। পরে নিরাপত্তারক্ষীরা বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিলে বিক্ষোভমুক্ত হয় আধিকারিক দলটি।
এনিয়ে মিঠু মাল নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, "আমার বাড়ি ভেঙে পড়ে যাচ্ছে। বিডিও স্যারকে এজন্য আটক করেছিলাম যে, আমাদের বাড়িগুলো দেখে যাক। অন্যান্য গ্রামে সবাই বাড়ি, শৌচালয়, ত্রিপল পাচ্ছে। কিন্তু, আমরা কোনও সাহায্য পাচ্ছি না। এইজন্য আমরা আটক করেছি। আমাদের একটা ঘর দেওয়া হোক। কেন দেবে না ? সেইজন্য আটক করেছিলাম। কিন্তু, উনি আমাদের কথা শোনেন না। কেন্দ্রীয় দলকেও বলেছি। ওরাও শোনেনি। আমরা গরিব মানুষ। দিনমজুরি খেটে খায়। কী করব ?"
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: North Dinajpur: কলেজের হস্টেলে পড়ুয়াদের নির্যাতন! এবার র্যাগিংয়ের অভিযোগ রায়গঞ্জ মেডিক্যালে