পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। তার জেরে একদিন, দু’দিন নয়, টানা ১৫ দিন বিদ্যুৎহীন বাঁকুড়ার একটি গ্রাম। তার জেরে চরম সমস্যায় গ্রামের সাধারণ মানুষ। মিলছে না পানীয় জলও। বার বার সেই নিয়ে অভিযোগ জানালেও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের। 


টানা ১৫ দিন ধরে বিদ্যুৎহীন বাঁকুড়ার গোটা গ্রাম!


বাঁকুড়া জেলার (Bankura News) অন্তর্গত ওন্দার (Onda News) প্রত্যন্ত জনজাতি গ্রাম কুলপুকুর। এই কুলপুকুরই টানা ১৫ দিন ধরে বিদ্যুৎহীন রয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এ নিয়ে বার বার বিদ্যুৎ দফতরে ডকেট করে অভিযোগ জানানো হয়েছে (Electricity Crisis)। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে অন্ধকারেই জীবন কাটছে গ্রামের সকলের। 


জনজাতি অধ্যুষিত ছোট্ট জনজাতি গ্রাম কুলপুকুর। সবমিলিয়ে প্রায় ২০টি পরিবারের বাস ওই গ্রামে। কিন্তু একটানা বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ থাকায় নাজেহাল সাধারণ মানুষ। অন্ধকারেই রাত কাটছে জঙ্গলে ঘেরা গ্রামটির। বিদ্যুৎ না থাকায় চাষের কাজও বন্ধ। মিলছে না পানীয় জলও। তার উপর চরম দাবদাহে হাঁসফাঁস করেই দিন কাটছে শতাধিক জনজাতি মানুষের। 


আরও পড়ুন: SSC Agitation : SSC-র গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি এবং রাজ্য সরকারের গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের যৌথ বিক্ষোভ


এই পরিস্থিতির জন্য সরাসরি জেলা প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলছেন গ্রামের বাসিন্দারা। বার বার অভিযোগ জানানো হলেও, প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজায়। তাতে বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছেন এলাকার তৃণমূল ব্লক সভাপতি ভবানী মোদক এবং ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা। 


বিদ্যুৎসঙ্কট নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে


অন্য দিকে, ভরা বর্ষায় কাজ চলাকালীন হুগলি নদীর বাঁধে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিল। তাতে বাসুদেবপুর এলাকার মানুষ। সেখানকার ৩০ মিটার বাঁধে ফাটল ধরেছে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। বাঁধ মেরামতির কাজ জোর কদমে শুরু করেছে সেচ দফতর।  


মাস ছয়েক আগে এই পূর্ব বাসুদেবপুর এলাকায় নদী বাঁধে ১৪০ মিটার ধস নেমে তা হুগলি নদীর গর্ভে চলে যায়। সেচ দফতরে তরফে সেই সময় বালির বস্তা, মাটির বস্তা, ভাঙা ইট ফেলে বাঁধ মেরামত করে দেওয়া হয়। বাঁধকে সুরক্ষিত রাখার জন্য গ্রামের দিকের একটি অংশে অন্য আর একটি বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছিল।  সেই কাজ চলাকালীনই ৩০ মিটার বাঁধ বসে যায় বলে  খবর। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গতকাল জোয়ারের পরেই বাঁধের ওই অংশ পুরো ধসে যায়।