সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর:  তৃণমূল কর্মীর (TMC Leader) রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারের (Murder Case) ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে ইটাহার থানার শ্রীপুর এলাকার একটি ধান খেতে৷ মৃত ওই ব্যাক্তির নাম আব্দুল কাশেম। বয়েস হয়েছিল ৪০ বছর। বাড়ি ইটাহার থানার গুটলু গ্রামে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইটাহার থানার পুলিশ (Itahar Police Station)।


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইটাহার থানার গুটলু এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাশেম পেশায় ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করতেন তিনি। শনিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা ইটাহার থানার শ্রীপুর এলাকার একটি ধানের জমিতে আব্দুল কাশেমের রক্তাক্ত মৃতদেহটি দেখতে পায়। রক্তাক্ত মৃতদেহটি দেখে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ইটাহার থানার পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসা হয়। এই খুনের পিছনে কী কোনও রাজনৈতিক কারণ লুকিয়ে রয়েছে, নাকি অন্য কোনও ব্যক্তিগত ইস্যু জড়িয়ে রয়েছে। কে বা কারা কী কারনে আব্দুল কাশেমকে খুন করল, তা তদন্ত শুরু করেছে ইটাহার থানার পুলিশ। নামানো হয়েছে পুলিশ কুকুরও। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে একটি মোটর বাইক। 


আরও পড়ুন,'অনুব্রতই তৃণমূল, তৃণমূলই অনুব্রত', 'সুপার' ইস্যুতে বিস্ফোরক শমীক


প্রসঙ্গত, রাজ্যের ইতিমধ্যেই ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় একাধিক খুন হয়েছে। যদিও তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের দাবি, অধিকাংশ বিজেপি কর্মীর একুশের নির্বাচনের পর ঘর ছাড়া। যা নিয়ে রাজ্যে এসে খতিয়ানও দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যে জাতীয় মানবধিকার কমিশন আসার পরেই সিবিআই-কে এই মামলায় নিযুক্ত করে কলকাতা হাইকোর্ট। অভিজিৎ সরকার থেকে মগরাহাটের মানস সাহা, প্রত্যেকেরই খুনের মামলায় তদন্ত চলছে। তবে এতো গেল একটা দিক। যদিও একথা মানতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের তরফে, একাধিক খুন হয়েছে তাঁদের কর্মীর এমন দাবি করা হয়েছে। এমন কি ভোটের ফলের অনেক পরে হলেও, রাজনৈতিক ইস্যুতেই পাণিহাটির অনুপম দত্ত-কে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যেখানে ইতিমধ্যেই উপ নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। আর এবার  ইটাহার থানার শ্রীপুর এলাকায় ফের তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি।