পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: বিজেপির (BJP) পিকনিক-রাজনীতি (Picnic Politics) এবার বাঁকুড়াতেও (Bankura)। পিকনিকে ছিলেন বিজেপির ৩ বিধায়ক। পিকনিকের পর দলের জেলা নেতৃত্বকে নিশানা করলেন ওন্দার বিধায়ক। বিজেপির অন্দরের কোন্দল বাইরে চলে আসায়, তা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল। বড় দলে মান অভিমান হতেই পারে, সাফাই বিজেপির।
বিজেপির বিদ্রোহী এবং বিক্ষুব্ধদের নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের পিকনিক ঘিরে ইতিমধ্যেই সরগরম হয়ে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতি। এবার পিকনিক রাজনীতির আঁচ লাগল বাঁকুড়াতেও। মগরায় পিকনিকে দেখা গেল বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা,ওন্দার বিদ্রোহী বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা,সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামিকে।
দিন কয়েক আগে দলের সাংসদ ও জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে পদত্যাগ করা বিজেপির ছাতনা এক নম্বর মণ্ডলের সভাপতি জীবন মণ্ডলকেও এদিন দেখা যায় বিধায়কদের পাশে। পিকনিকের পর ক্ষোভ উগরে দেন ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা। তিনি বলেছেন, দলের জেলাস্তরের নেতৃত্বের একাংশের সাংগঠনিক ক্ষমতা নেই। প্যারাসুটে করে তাঁদের নামিয়ে পদে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের তা পছন্দ হয়নি। দলের মধ্যেও তা নিয়ে অসন্তোষ তৈরী হয়েছে।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সুর ছড়িয়েছে শাসকদল। তৃণমূল কংগ্রেসের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান শ্যামল সাঁতরা বলেছেন, জেলা নেতৃত্বকে না মানতে পেরে বিজেপির বিক্ষুব্ধরা নিজেরা পিকনিক করে সংগঠিত হচ্ছেন।
গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করেছে সিপিএমও। দলের জেলা সম্পাদক অজিত পতি বলেছেন, বিজেপি আসলে রাজনীতির মতো সিরিয়াস বিষয়কে পিকনিকের মতো ছেলেখেলা করে হাস্যকর করে তুলছে।
বড় দলে মান অভিমান হতেই পারে, সাফাই বিজেপি নেতৃত্বের। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি দেবাশিস দত্ত বলেছেন, বড় দলে মান অভিমান থাকতে পারে। এটা দলীয় পিকনিক নয়। যে কেউ করতে পারে। শাসকদল এটা নিয়ে প্রচার করছে।
ডিসেম্বরে দলের একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ-ত্যাগ করেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা।ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা।ইন্দাসের নির্মল ধাড়া।এবং সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়ার আবেদন করেন অমরনাথ শাখা, সূত্রের দাবি একই পথে হাঁটেন নির্মল ধাড়াও। আর এবার বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের নিয়ে পিকনিকে জেলা নেতৃত্বকে সরাসরি তোপ ওন্দার বিধায়কের।