রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: ফরাক্কার গঙ্গায় প্রাণহীন পরিযায়ী পাখি, মরা মাছ। শীতের সময়ে পরিযায়ী পাখিদের দেখা মেলে ফরাক্কায়। দূর আকাশে ভেসে যায় হাজারে হাজারে পরিযায়ী পাখির দল। এবারেও দেখা মিলেছে পরিযায়ীদের। তবে এবার ভয়ঙ্কর এক ঘটনার সাক্ষী থাকল ফরাক্কা। গঙ্গার জলে ভাসছে পরিযায়ী পাখির দেহ, মারা গিয়েছে অসংখ্য মাছ।


বৃহস্পতিবার সকালে ফিডার ক্যানেলে মৃত পরিযায়ী পাখি ও মৃত মাছ ভেসে আসতে দেখেন স্থানীয়দের অনেকেই। প্রাণহীন পরিযায়ী পাখিটিকে তুলে পাড়ে আনা হয়। তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় ঘটনার জেরে। স্থানীয়দের দাবি, পাখি শিকারের কোন চক্র রয়েছে কিংবা নদীতে দূষণের জেরেই এই ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


যদিও চলতি বছর হাওড়ায় দেখা গিয়েছিল অন্যছবি। প্রকৃতি এবং অতিমারির (COVID Pandemic) রোষেই দিন কাটছে বিগত দু’বছর ধরে। তার মধ্যেই অবাক করা দৃশ্য ধরা পড়ল সাঁতরাগাছি (Santragachi)ঝিলে। বিগত কয়েক বছরের রেকর্ড ভেঙে নতুন বছরের শুরুতেই সেখানে ভিড় জমিয়েছে পরিযায়ী পাখির দল (Bird Migration)। প্রতি বছরই ঝিলে পাখির সংখ্যা গোনা হয়। তাতেই দেখা গিয়েছে, অন্য বছরের তুলনায় এ বারে পাখির সংখ্যা বেশি। করোনার প্রকোপের মধ্যেও প্রকৃতির এমন কারসাজিতে খুশি পক্ষীপ্রেমীরাও। 


ফি বছর শীত পড়তেই হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি ভিড় জমায় সাঁতরাগাছি স্টেশন লাগোয়া সাঁতরাগাছি ঝিলে (Howrah News)। সাধারণত অক্টোবর মাসের শেষ দিক থেকে হিমালয় পেরিয়ে অথবা পাদদেশ অঞ্চল থেকে পরিযায়ী পাখিরা খাবারের সন্ধানে এখানে চলে আসে। এ বছর দেরিতে শীত পড়ায় পরিযায়ী পাখিরা একটু দেরিতেই এসেছে। তবে মাঝে কয়েকদিন বেশ ভাল রকম ঠান্ডা পড়ায় দলে দলে পরিযায়ী পাখিরা এখানে ভিড় জমাতে শুরু করেছে।


উল্লেখ্য,  বাঁকুড়ায় (Bankura) পাখি গণনার (Bird Counting) কাজে নামে বনদফতর। খতিয়ে দেখা হয় পাখির প্রজাতি ও সংখ্যা। বাঁকুড়ার মুকুটমনিপুর জলাধারে ও জলাধার সংলগ্ন এলাকায় পাখি গণনার কাজ শুরু করেন বাঁকুড়া দক্ষিণ বনবিভাগের আধিকারিকরা। সকাল থেকেই জল, জঙ্গল পাহাড় ঘেরা মুকুটমনিপুরের সুবিশাল জলাধার ঘুরে শুরু হয় পাখি গণনার কাজ। বাঁকুড়া দক্ষিন বনবিভাগের উদ্যোগে শুরু হয়েছে এই পাখি গণনার কাজ। বনদফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ও পক্ষী বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এই পাখি গণনার কাজ চলছে।