পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: কিছুদিন ধরে ঘটতে থাকা গরু চুরির (Cow Smuggling) ঘটনার কিনারা করতে বিশেষ টিম তৈরি করল বাঁকুড়া পুলিশ (Bankura Police)। মিলল সুরাহা। সন্ধান পাওয়া গেল আন্তঃজেলা গরু পাচার চক্রের।
স্পেশাল টিমের সাহায্যে গরু পাচার চক্রের কিনারা বাঁকুড়ায়
বেশ কিছুদিন ধরেই বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায়ই গরু চুরির ঘটনার খবর মিলছিল। এর ফলে একদিকে যেমন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন গ্রামের মানুষ অন্যদিকে চিন্তায় পড়েছিল বাঁকুড়া জেলা পুলিশও।
একদিকে গরু পাচার নিয়ে যখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি, চলছে কেন্দ্রীয় সংস্থার অধীনে তদন্ত, ঠিক তার মাঝেই একের পর এক গরু চুরির ঘটনা নিয়ে বড় চাপে পড়ে বাঁকুড়া পুলিশ। সেই চুরির কিনারা করতেই স্পেশাল টিম তৈরি করে বাঁকুড়া পুলিশ। গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাফল্য পেল বাঁকুড়া স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম। এই অভিযানে পুলিশ পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থানার বালিচক এলাকায় গরু চুরির ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের বুধবার তোলা হবে বাঁকুড়া জেলা আদালতে।
বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুর, ছাতনা ও বাঁকুড়া সদর থানায় একাধিক গরু চুরির ঘটনা ঘটছিল কয়েকদিন ধরে। সম্প্রতি একাধিক গরু চুরির ঘটনা বেশ ভাবিয়ে তুলেছিল পুলিশকে। গরু চুরির কিনারা করতে আসরে নামেন তাঁরা। তদন্ত কমিটি গঠন করে চলে পুলিশের অভিযান। জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নেতৃত্বে এই স্পেশাল তদন্তকারী টিম বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে ঝাঁপিয়ে পড়ে বড়সড় এই ক্রাইমের কিনারা করতে।
পুলিশ জানতে পারে একটি দল বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও হুগলি জেলাতেও গরু চুরির কাণ্ড ঘটিয়ে চলেছিল। পুলিশ জানতে পারে এই দল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানা এলাকার। এবার তদন্তকারী দল আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই গ্যাংটিকে পাকড়াও করতে তৎপর হয়। মঙ্গলবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থানার দাসপুর এলাকায় পুলিশের জালে ধরা পড়ে ৬ দুষ্কৃতী। পুলিশ জানিয়েছে এই ৬ দুষ্কৃতী দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানা এলাকার। তারা রাতের বেলায় বাঁকুড়া সহ ৪ জেলায় গরু চুরির কাণ্ড করত। গরু চুরি করে সেগুলি দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করত।
আরও পড়ুন: Malda: সংসার সামলে নিয়মিত রান্না করেন পশুপাখিদের জন্য, বাণী দেবীর পশুপ্রেমের বিরল দৃষ্টান্ত
পুলিশ জানিয়েছে এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। আন্তঃজেলা গরু চুরির সঙ্গে এদের যোগ রয়েছে বলে পুলিশের দাবি। এই দলের সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃতদের বুধবার বাঁকুড়া জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে। ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করছে পুলিশ।