পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাঁকুড়ায় সারপ্রাইজ ভিজিটে গিয়ে দলীয় কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত বিঘনা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে যান তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। প্রধানের সঙ্গে কথা বেরোনোর পর, সায়ন্তিকাকে ঘিরে দলীয় নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল কর্মীরা। তৃণমূলের প্রধানের বিরুদ্ধেও কাজ না করার অভিযোগ তোলেন দলীয় কর্মীদের একাংশ। অস্বস্তি ঢাকতে একে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে বলে দাবি করেছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে শাসকদলের কোন্দল বারবার প্রকাশ্যে আসছে, কটাক্ষ করেছে বিজেপি।


ক্ষোভের মুখে নেত্রী: 
পঞ্চায়েত পরিদর্শনে গিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিষেবা নিয়ে এবার দলীয় কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়ল সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল বিকালে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়  বাঁকুড়া শহর লাগোয়া বিকনা গ্রাম পঞ্চায়েত পরিদর্শনে গেলে তাঁকে পঞ্চায়েতের পরিসেবাগুলির ক্ষেত্রে নানা অভিযোগ জানান স্থানীয় তৃণমূল কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। সমস্যা রয়েছে স্বীকার করে সায়ন্তিকার দাবি সমস্যার সমাধান করা  হয়েছে। বিজেপির দাবি আসলে এটি তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলেরই বহিঃপ্রকাশ। 


বাঁকুড়া শহর লাগোয়া বিকনা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় পরিষেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখতে বিকনা গ্রাম পঞ্চায়েতে যান তৃণমূল নেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রাম পঞ্চায়েত পরিদর্শন করে সায়ন্তিকা বেরিয়ে আসার সময় স্থানীয় বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দা তাঁকে ঘিরে ধরে। এরপর পঞ্চায়েতের বিভিন্ন ধরনের শংসাপত্র পাওয়া সহ বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা পাওয়া নিয়ে নিজেদের ক্ষোভের কথা জানান সায়ন্তিকাকে। স্থানীয়রা সায়ন্তিকাকে বলেন, বিভিন্ন শংসাপত্র ও অন্যান্য প্র‍য়োজনে গ্রাম পঞ্চায়েতে গেলেও পঞ্চায়েতের প্রধানকে পাওয়া যায় না। ক্ষোভের কথা শুনে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন সায়ন্তিকা। পরে তিনি বলেন, সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিজেপির দাবি এই ধরনের অভিযোগ শুধু বিকনা গ্রাম পঞ্চায়েতে নয় কমবেশি সব গ্রাম পঞ্চায়েতেই রয়েছে। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরেই এমন ঘটনা ঘটছে।

আরও পড়ুন: শুরু 'দুয়ারে পিজি' প্রকল্প, সবার প্রথমে কেশিয়াড়িতে