পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: স্কুলে শিক্ষক নেই। তাই লকডাউনের (COVID Lockdown) পর থেকেই বন্ধ স্কুল। পড়ুয়াদের বাধ্য হয়ে অন্য স্কুলে চলে যেতে হয়েছে। এই অবস্থা বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের খাগ জুনিয়র হাইস্কুলের। আজ স্কুল খোলার দাবিতে জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে ডেপুটেশেন দিলেন অভিভাবকরা (Bankura News)।
পড়ে নষ্ট হচ্ছে পরিকাঠামো, নেই শিক্ষক, লকডাউনের পর থেকে বন্ধ সোনামুখীর স্কুল
আস্ত একটা স্কুল আছে। অথচ স্কুলের দরজায় তালা। স্কুলে কোনও শিক্ষক নেই। তাই আপাতত নেই কোনও পড়ুয়াও। পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে স্কুলের পরিকাঠামো (Bankura Sonamukhi School)।
বাঁকুড়া সোনামুখী ব্লকে খাগ গ্রামের এই জুনিয়র হাইস্কুলে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ক্লাস হত। ২০১৪ সালে ডেপুটেশনে ২ জন শিক্ষককে পাঠিয়ে চালু হয় স্কুল। ২০১৭ সালে ডেপুটেশনে থাকা দুই জন শিক্ষক অন্যত্র বদলি হয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় পঠনপাঠন।
২০১৯-এ ফের পাশের স্কুল থেকে ২ জন শিক্ষককে ডেপুটেশনে পাঠানো হলে স্কুল খোলে। তারপর কোভিড ও লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার সময় ওই ২ শিক্ষকও অন্যত্র বদলি হয়ে যান।
স্কুল শিক্ষকশূন্য হয়ে পড়ায় পড়ুয়ারা বাধ্য হয়ে ৯ কিলোমিটার দূরে পাঁচাল হাইস্কুলে ভর্তি হয়। লকডাউনের পর থেকে স্কুল আর খোলেনি। খাগ জুনিয়র হাইস্কুল ফের চালুর দাবিতে বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া শহরে জেলা স্কুল পরিদর্শকের সামনে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা।
অভিভাবকদের অভিযোগ, গ্রামের স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গলের পথ দিয়ে অনেকটা ঘুরে পড়ুয়াদের অন্য স্কুলে যেতে হচ্ছে। এক পড়ুয়ার অভিভাবক লোকনাথ ঘোষ বলেন, "পড়ুয়ার অভাবে তো এই সকুল বন্ধ হওয়ার কথা নয়। আমাদের স্কুলে ১০০-র ওপর পড়ুয়া ছিল। তাও কেন বন্ধ করা হল?"
বিক্ষোভে শামিল আর এক পড়ুয়ার অভিভাবক প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, "জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পড়ুয়াদের অনেকটা ঘুরে স্কুলে পাঠাতে হচ্ছে। এই বন্ধ স্কুল খুলতে হবে। এটাই আমাদের দাবি।"
স্কুল খোলার দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা
বাঁকুড়ার জেলা স্কুল পরিদর্শক পীযূষকান্তি বেরা জানিয়েছেন, তিনি স্কুল খোলার বিষয়ে উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি বলেন, "আমি ওঁদের দাবি খতিয়ে দেখব। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও স্কুল শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা বলব।" স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে কি ইতিবাচক সাড়া মিলবে? কবে খুলবে স্কুল? সেদিকেই তাকিয়ে গ্রমবাসীরা।