তালডাংরা (বাঁকুড়া) : 'পুলিশের উর্দি পরে তৃণমূলের হয়ে দালালি করবেন না। তৃণমূলের হয়ে দালালি করলে, পুলিশের যে টুপিটা পরেন, ঘাড়ে যে অশোক স্তম্ভটা পরেন, সেই অশোক স্তম্ভ টুপি থেকে খুলে রাখুন। একটা হাওয়াই চটির সিম্বল ওখানে লাগিয়ে নিন।' বাঁকুড়ার তালডাংরা বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে পুলিশকে তীব্র ভাষায় বিঁধলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।


কী বললেন সুকান্ত ?


সুকান্ত বলেন, "ভোটে তো আমাদের তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই নয়, পুলিশের সঙ্গে লড়াই। পুলিশ সরিয়ে দিলে ১৫ মিনিটও তৃণমূল কংগ্রেস বলে কোনো দল থাকবে না। কোনো রাজনৈতিক দল থাকবে না। পুলিশ বলতে চাই পরিষ্কার করে শুনে রাখুন, সময় আসছে। মনে রাখবেন, চিরকাল কারো সমান যায় না। কখনো নৌকার ওপরে গাড়ি ওঠে, কখনো গাড়ির ওপরে নৌকা ওঠে। তাই পরিষ্কার বলে দিচ্ছি, যদি দালালি করতে হয়...খাকি ছাড়ুন, তৃণমূলের ঝান্ডা ধরে রাস্তায় নেমে রাজনীতি করুন। কত দম আছে আমরা দেখে নেব। কিন্তু, পুলিশের উর্দি পরে তৃণমূলের হয়ে দালালি করবেন না। তৃণমূলের হয়ে দালালি করলে, পুলিশের যে টুপিটা পরেন, ঘাড়ে যে অশোক স্তম্ভটা পরেন, সেই অশোক স্তম্ভ টুপি থেকে খুলে রাখুন। একটা হাওয়াই চটির সিম্বল ওখানে লাগিয়ে নিন। জনগণ ভাল সম্মান করবে। কম সে কম বলবে, যে তৃণমূল করছে। বুক ফাটিয়ে তৃণমূল করছে। বুক ফুলিয়ে তৃণমূল করছে। চুপ করে চুরি করে তৃণমূল কংগ্রেস করছে না। এই তৃণমূল কংগ্রেস পুলিশের জন্য টিকে আছে।" 


সুকান্তর আক্রমণের পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেন, "ভোটের আগেই হেরে বসে আছে। সুকান্ত মজুমদারের মতো একটা মিথ্যাবাদী লোক কথায় কথায় লোককে হুমকি দেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন, কোনো গঠনমূলক চিন্তাভাবনা নেই। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ওরা কিছুতেই হটাতে পারছে না। তাই ওরা মিথ্যা কথা বলবে। এটা তো ওদের বরাবরের অভ্যাস। মিথ্যা কথা বলে যতটা হাততালি কুড়ানো যায়, এটাই ওদের কাজ। পুলিশ পুলিশের কাজ করবে। আমরা তো দল থেকে পুলিশকে চালাই না। পুলিশকে চালায় সরকার, তার প্রশাসন। তাদের নিজস্ব অধিকার, স্বাধীনতা আছে। পুলিশের বিরুদ্ধে যদি কেউ অন্যায় কথা বলে পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। পুলিশ পুলিশের কাজ করবে। কোনো দলের কথায় পুলিশ চলে না। আমাদের কথায় পুলিশ চলে না।"