পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: নজরে পুরভোট। দলকে শক্তিশালী করতে বাঁকুড়া শহরে দুয়ারে যোগদান কর্মসূচি নিল তৃণমূল। বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়ে সাধারণ মানুষের হাত দলীয় পতাকা তুলে দিচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। এই নিয়ে বিজেপির কটাক্ষষ মানুষ পাশে নেই, বাড়িতে ছুটতে হচ্ছে তৃণমূলকে।


এবার বাঁকুড়ায় দুয়ারে যোগদান কর্মসূচি নিল তৃণমূল। ভোটারদের দরজায় পৌঁছে গিয়ে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে পতাকা।বাঁকুড়া পুর এলাকাজুড়ে এই কর্মসূচি নিয়েছে শাসক দল। বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরকিদের অভাব অভিযোগ শুনছেন তৃণমূল নেতারা। বাঁকুড়া ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অজয় মাল বলেন, "আমি কোনও পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, নেতা-নেত্রীরা আমার বাড়ির সামনে এসেছিল, তৃণমূল পার্টিতে যোগ দিলাম স্বেচ্ছায় যোগদান দিলাম।"



২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের ফলের নিরিখে, বাঁকুড়া পুর এলাকার ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৩টিতেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। মাত্র ১টি আসনে লিড পায় তৃণমূল। গত বিধানসভা ভোটের ফলের নিরিখে, ১৭টি ওয়ার্ডেই এগিয়ে বিজেপি। মাত্র সাতটি ওয়ার্ডে শাসকদল এগিয়ে আছে। যে ওয়ার্ডগুলিতে শাসক দল পিছিয়ে, সেখানে দুয়ারে যোগদানে বেশি জোর দিয়েছে তৃণমূল।


যে ওয়ার্ডগুলিতে শাসক দল পিছিয়ে, সেখানে দুয়ারে যোগদানে বেশি জোর দিয়েছে তৃণমূল। বাঁকুড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেন, "মানুষের কাছে জানতে চাইছি তাদের কি অসুবিধা কিছু কিছু মানুষ আমাদের প্রতি বিমুখ হয়ে ছিলেন তার কারণ কী জানতে চাই, পৌর নির্বাচনে আমরা ২৪ আসন জিতব, যোগদানে দল অনেকটাই শক্তিশালী হবে।" 


যদিও তৃণমূলের এই জনসংযোগ কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না বিজেপি। রাঢ়বঙ্গ জোনের বিজেপির আহ্বায়ক পার্থ কুণ্ডু বলেন, "আজ তৃণমূলের কী দুরবস্থা দুয়ারে গিয়ে যোগদান করাতে হচ্ছে মানুষ স্বেচ্ছায় আসছে না কারণ তাদের পাশে কোন কর্মী নেই, মানুষকে প্রলোভন দেখানো হচ্ছে।" পুরভোটের মুখে শাসক দলের এই স্ট্র্যাটেজি ভোটের বাক্সে কতটা প্রভাব ফেলে, তা নিয়ে এখন আলোচনা বাঁকুড়ায়।