তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: পুরসভা ভোটের নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা হয়নি। এর মধ্যেই তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রার্থীতালিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি করছে। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পুরসভা ভোটে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।


বিষ্ণুপুর পুরসভায় নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে ডান-বাম সব দলের তরফেই প্রার্থীতালিকা তৈরি নিয়ে চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। এরই মাঝে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে তৃণমূলের একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীতালিকা। তৃণমূলের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে প্রার্থীতালিকাগুলি দেখা যাচ্ছে, সেগুলি সব ভুয়ো। এই ভুয়ো প্রার্থীতালিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিজেপি-র দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল। পাল্টা বিষয়টিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফল বলে দাবি করেছে বিজেপি।


গত কয়েকদিন ধরেই ফেসবুক সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষ্ণুপুর পুরসভার ১৯টি ওয়ার্ডে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘুরে বেড়াচ্ছে। এর মধ্যে একটি সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় ব্যবহার করা হয়েছে তৃণমূলের হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের ঠিকানার দলীয় লেটারহেডও। যে দু’টি সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে তার একটিতে প্রার্থী হিসাবে নাম রয়েছে বর্তমান পুর প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপারসন অর্চিতা বিদ এবং নির্বাচনের পরে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষের নাম। স্বাভাবিকভাবেই এই তালিকা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তোলপাড়।


এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের বিষ্ণুপুর টাউন সভাপতি সুনীল দাসের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া সম্ভাব্য প্রার্থীতালিকা তাঁদের দলের তরফে প্রকাশিত নয়। পুরসভা নির্বাচনের আগে মানুষের মনে বিভ্রান্তি তৈরির উদ্যেশ্যে বিজেপি এই কাজ করেছে।


পাল্টা বিজেপি-র নগর মন্ডল সভাপতি উত্তম সরকার বলেছেন, বিজেপি-র তরফে এই কাজ করা হয়নি। তৃণমূলের একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দলের জেরেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।


করোনা সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে, তাতে রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলিতে কবে ভোটগ্রহণ করা হবে, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে ভোট যখনই হোক, এখন থেকেই বিষ্ণুপুরে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে।