কমলকৃষ্ণ দে, বর্ধমান: রোগী ভর্তি রয়েছে ওয়ার্ডে। রোগীর ভিড় বহির্বিভাগেও। তার মধ্যেই দায়িত্বজ্ঞানহীনতার চরম নিদর্শন মিলল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে (Burdwan Medical College and Hospital)। ব্যস্ত সময়ে পাইপলাইন থেকে জল বেরিয়ে ভরে গেল গোটা হাসপাতাল। ওয়ার্ড, বহির্বিভাগ এমনকি নতুন ভবনের বিভিন্ন ওয়ার্ডও জলমগ্ন (Hospital Waterlogged) হয়ে উঠল।


শুক্রবার একেবারে ব্যস্ত সময়ে এই ঘটনা ঘটে। হাসপাতালের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিকঠাক কাজ করছে কি না পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছিল। কিন্তু পাইপলাইনে জল ছাড়তেই হুড়মুড় করে জল ঢুকে পড়ে হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার সংঙ্গে যুক্ত পাইপলাইনের একাধিক ভাল্‌ভ অনেক আগেই চুরি গিয়েছে। কর্তৃপক্ষের তা জানা ছিল না। তাতেই বিপত্তি ঘটে। জল থইথই অবস্থা হয় গোটা হাসপাতালের।


এই বিপত্তির ফলে এ দিন অর্থপেডিক, বহির্বিভাগ এবং নতুন ভবনের একাধিক ওয়ার্ডে জলমগ্ন হয়ে পড়ে। নিরাপত্তার কারমে বন্ধ করে দেয়া হয় লিফ্‌ট। তার জেরে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় সর্বত্র। ভাল্‌ভ চুরি যাওয়ার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের চোখে পড়েনি কেন, কেনই বা পরীক্ষার আগে সব কিছু খতিয়ে দেখা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।


আরও পড়ুন: Corona Cases: ওমিক্রনের জন্যেই রাজ্যের বেলাগাম করোনা, উদ্বেগ বাড়িয়ে প্রকাশিত রিপোর্ট


স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রতিদিন চিকিৎসার প্রয়জনে হাসপাতালে ভিড় করেন কাতারে কাতারে মানুষ। তার উপর করোনার প্রকোপ নেমে এসেছে। তাতেও হাসপাতালের তরফে এমন গাফিলতি মেনে নেওয়া যায় না। হাসপাতালের নিরাপত্তায় সর্বত্র সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। রয়েছেন কয়েকশো নিরাপত্তা কর্মীও। তাতেও ভাল্‌ভ চুরির বিষয়টিী ধরা পড়ল না কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা।


ভাল্‌ভ চুরি যাওরা কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের সুপার তাপসকুমার ঘোষ। তিনি বলেন, ভাল্‌ভ চুরি যাওয়াতেই সাময়িক বিপত্তি ঘটে। দ্রুত তার মোকাবিলা করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।’’ নিরাপত্তার গাফিলতি নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে বলেও জানান তিনি।