কমলকৃষ্ণ দে, বর্ধমান: নজরদারি সত্ত্বেও রোখা যাচ্ছে না পাচারচক্রকে। এ বার বর্ধমান স্টেশনে হাতেনাতে ধরা পড়ল এমনই পাচারচক্র। প্রায় ২০০ টিয়াপাখি শাবককে (Baby Parrots) পাচার করা হচ্ছিল। পাচারকারীদের খপ্পর থেকে টিয়াপাখি শাবকগুলিকে উদ্ধার করা গিয়েছে (Baby Parrot Smuggling)। এই ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করেছে রেল পুলিশ (RPF)।
বর্ধমান স্টেশনে খাঁচাভর্তি টিয়াপাখি উদ্ধার
বুধবার বর্ধমান (Bardhaman Railway Station) স্টেশনে এই কাণ্ড ঘটে। চার এবং পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আলাদা আলাদা ভাবে, খাঁচায় বন্দি করে পাচার করা হচ্ছিল টিয়াপাখি শাবকগুলিকে। সেগুলিকে উদ্ধার করে বর্ধমান বনবিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। শাবকগুলির বিশেষ যত্ন নিতে হচ্ছে বনবিভাগকে।
রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান স্টেশনের চার এবং পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে খাঁচাবন্দি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল টিয়াপাখি শাবকগুলিকে। সেই সময় পুলিশের জালে ধরা পড়েন এক যুবক। ধৃতের নাম কাশেম খান। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বাড়ি বর্ধমান শহরেরই দুবরাজদিঘির কেন্দুলিপাড়া এলাকায়।
রেল পুলিশ জানিয়েছে, ডাউন শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেস থেকে টিয়াপাখি নিয়ে প্লাটফর্মে নামার পরই ধৃতকে হাতেনাতে ধরা হয়। বিহারের ভাগলপুর এলাকা থেকে টিয়াপাখিগুলিকে নিয়ে আসা হচ্ছিল। এত সংখ্যক টিয়াপাখি শাবক উদ্ধার হওয়ায় বনবিভাগের তরফে স্পেশাল কেয়ার নেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে ডাক্তার দেখানোর পর বেশ কিছুদিন শাবকগুলিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।পরিস্থিতি বুঝে তবেই তাদের গভীর জঙ্গলে ছাড়ার কথা ভাবা হবে।
ক্যারিয়ারের কাজ করতেন ওই যুবক
বর্ধমানের অতিরিক্ত বিভাগীয় বন আধিকারিক সোমনাথ চৌধুরী জানিয়েছেন, ধৃত যুবক আসলে ক্যারিয়ারের কাজ করতেন। অর্থাৎ পাখি সাবক পৌঁছে দেওয়া করাজই করতেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে সে কথআ কবুল করেছেন তিনি। এর পিছনে কোনও বড় মাথা রয়েছে বলেই সন্দেহ পুলিশের। ধৃতের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ আইনের নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাঁকে বর্ধমান আদালতে তোলার কথা।